মলয় দে নদীয়া:-গয়েশপুরে “বুড়ির বটতলা” বহু প্রচলিত নাম, জানেন কে এই বুড়ি? পরিচয় জানলে চমকে যাবেন!
কল্যাণীর গয়েশপুর পৌর অঞ্চলের কাটাগঞ্জে এই বুড়ির বটতলা যা গয়েশপুর সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের মানুষের মুখে মুখে বহু প্রচলিত নাম। স্বাধীনতার অনেক আগে থেকেই এখানে বটবৃক্ষ ছিল। সেই সময় এই অঞ্চল ছিল ঘন জঙ্গলে ঘেরা, বসতি ছিল খুবই কম।
জানা যায় কোলকাতার এক জমিদার পরিবারের কন্যা ছিলেন এই বুড়ি মা,, তার নাম ছিল প্রিয়াসী দাসি অল্প বয়সে স্বর্ণ থালায় বিয়ে হয় । বিয়ের পর হঠাৎ দৈববাণী ঘটে তার জীবনে স্বামী গৃহত্যাগী হন এবং তিনি সেই সময় কোলকাতা থেকে নদী পথে হালিশহর ভাগীরথী নদীর তীরে উপস্থিত হন। সেখানে নদীতে একটি ঘট ও নিশান ভেসে আসে তার সামনে । দৈববাণী নির্দেশে হালিশহর ভাগীরথী নদী থেকে এই বটবৃক্ষের নিচে আসেন। অল্প বয়স দৈব্যসুন্দরী নারী তার মধ্যে ঘন জঙ্গল সেই বটবৃক্ষের নিচে বসেই সাধনা করতে থাকেন এই দৈব্য নারি ।১২ বছর সাধনা করার পর তিনি সিদ্ধিলাভ করেন।
ধিরে ধিরে সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে ১৯৫০ সালে আশে পাশে বেশ কিছু মানুষের বসবাস শুরু হয়। ধিরে ধিরে প্রিয়দাসী থেকে বুড়িমা হয়ে ওঠেন।
১৯৫২ সালে প্রথম স্থানীয় বাসিন্দাদের সহোযোগিতায় মাটির মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয় দক্ষিণা মৃত্যু নাশিণী কালি মন্দির।
ধিরে ধিরে সকলের বুড়িমা হয়ে হয়ে ওঠেন তিনি।
বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন সেই সময়। খুব জাগ্রত এই পিঠস্থান। বছরে একবার মাঘী পূর্ণিমায় বাৎসরিক পুজো হয়। এখানে কোন আচার বিচার ছিল না।
বয়সের কারণে একটা সময় দেহত্যাগ করেন বুড়িমা মন্দিরে তার সমাধী করা হয়।
সেই থেকে এই অঞ্চলের নাম বুড়ির বটতলা হয়ে ওঠে।
আজো সেই বটবৃক্ষ রয়েছে।
নিয়মিত পুজো অর্চনা হয় মন্দিরে। গয়েশপুর সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের মানুষের মুখে মুখে এই বুড়ির বটতলা।