সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে মায়াপুর ইসকন মন্দিরের চন্দন যাত্রা উৎসব

Social

মলয় দে নদীয়া:-দিন কয়েক আগে অবধি তীব্র তাপপ্রবাহে নাজেহাল হয়েছে বঙ্গবাসী। পুরী থেকে মাহেশ, মায়াপুর থেকে বৃন্দাবন – প্রখর এই গ্রীষ্মে, বৈশাখী গরমে কষ্ট পান ভগবানও। ভক্ত মনে বিশ্বাস এমনটাই। ঠিক সেই জন্যই সারা দেশে বিভিন্ন মন্দিরে শ্রীকৃষ্ণ বা জগন্নাথদেবকে চন্দনে চর্চিত করা হয় এ সময়। এই রীতির নাম চন্দন যাত্রা। গরম থেকে মুক্তি দিতে ভগবানের শরীরে চন্দন লেপে তাঁকে স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকে শুরু হয় এই চন্দন যাত্রা উৎসব।

সারা দেশে ইসকনের বহু মন্দিরেই কীর্তন সহ নানারকম অনুষ্ঠান হয়। মায়াপুরে ইসকন মন্দির থেকে বের হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা । এদিন ময়ূরপঙ্খী নৌকোয় নৌকো বিহারে বের হন ভগবান। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকে শুরু হওয়া এই চন্দন যাত্রা উৎসব চলে ২১ দিন ব্যাপী। হুগলির মাহেশে আবার এই উৎসব চনে ৪২ দিন। এই উৎসব দেখতে মায়াপুরে প্রতিদিন বিকেলে হাজার হাজার ভক্ত সমাগম হয়। দেশ ও বিদেশের ভক্দের সমাগমে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে মায়াপুর। এই চন্দন যাত্রা উৎসব পালিত হয়ে আসছে শ্রী শ্রী প্রভুপাদের সমাধি মন্দির সংলগ্ন পুস্কারিনীতে। প্রতিদিন ইসকনের ভক্তরা বাড়ি থেকে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন রকমারি মেনু তৈরি করে এনে ভোগ অর্পণ করে রাধামাধবকে।

প্রবল গরমে যখন সবাই বিপর্যস্ত, তখন এই চন্দন যাত্রা স্বস্তি ও শান্তি এনে দেয় ঈশ্বর তথা ভগবানকে। আর বাইরের আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে এদিন সমাগত হন বহু মানুষ। অক্ষয় তৃতীয়ায় হুগলির মাহেশে সূচনা হয়েছে উত্‍সবের। বিশেষ এই দিনে শুরু হল চন্দনযাত্রা। বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়ায় হয় চন্দন যাত্রা উত্‍সব। এদিন থেকে বিগ্রহে চন্দন লেপে সূচনা হয় চন্দন যাত্রার। ৪২ দিন ধরে চলে এই রীতি। জগন্নাথ দেবের মাথাব্যথা সারাতেই রীতি পালন।স্নানযাত্রার দিন সেই চন্দন দুধ, গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে ফেলা হয়। স্নানের পর জগন্নাথদেবের জ্বর আসে। তখন বন্ধ থাকে মন্দিরের গর্ভগৃহ। ভক্তরা দেখা পান না জগন্নাথের। লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকেন জগন্নাথদেব। তারপর সুস্থ হয়ে রথাযাত্রায় বের হন রথ নিয়ে।

Leave a Reply