মিগজাউমে চাষের মাঠে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণের প্রত্যাশা কৃষকদের

Social

মলয় দে নদীয়া:- ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়ার পর উত্তর বঙ্গোপসাগরের আবহাওয়ার আমুল পরিবর্তন ঘটেছে । যার কুফল হিসাবে সুদূর পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণাংশে দুদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টিপাতের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে শীতকালীন রবিশস্য আনাজ চাষাবাদ সহ মৌসুমী ফুল ও ফলের চাষ।

চাষীরা জানাচ্ছেন গ্রীষ্ম এবং বর্ষায় বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে প্রচুর পরিমাণে সেচের জল কিনতে হয়েছে তাদের, অন্যদিকে জলের অভাবে বিভিন্ন পোকামাকড় আক্রমণ আর তার ফলেই ফলনে ঘাটতি। এইসব সমস্যা যদিও বা কিছুটা সামলে ওঠা গিয়েছিল কিন্তু শীতকালীন অকাল বর্ষণ তার শেষ রক্ষা হতে দিল না বিট গাজর মুলো পিঁয়াজ আলু এ ধরনের মাটির তলার চাষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বৃষ্টির জল জমে থাকার কারণে। অন্যদিকে শীত না পড়ার কারণে পালং শাক শিম বরবটি বাঁধাকপি ফুলকপি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল, তার উপর রৌদ্রজ্জ্বল ঝকঝকে দিনের পরিবর্তে মেঘলা আকাশ এবং লাগাতার দু’দিনব্যাপী ঝিরি ঝিরি বৃষ্টিতে পচন ধরতে শুরু করেছে। এ সময় সরষে ধনেপাতা পালং শাক টমেটো মটরশুঁটির গাছের গোড়ায় জল জমা মারাত্মক ক্ষতিকর। প্রধান ফসল ধান মাঠেই রয়ে গেছে বেশিরভাগ কৃষকের। কীটনাশক এবং সারের দাম বৃদ্ধির ফলে চাষে আগের মতন আর লাভ নেই তার ফলে উপযুক্ত মজুরি না পেয়ে বেশিরভাগ শ্রমিকরা এখন ভিন রাজ্যের পাড়ি দেয় নানান রকম কাজে। আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানা থাকলেও, এত অল্প সময়ে মাঠে বিপুল পরিমাণে ধান ঝাড়াই বছরের কাজ সম্ভবপর হয়ে ওঠেনি। তার উপর সকল কৃষকেরই একই সাথে কৃষি শ্রমিকের প্রয়োজন। তাই শ্রমিকের অভাবে নিজেদের ধানের জমি থেকে নিজেরাই যেটুকু পেরেছেন তাড়াতাড়ি করে মাঠেই হলারের সাহায্যে পাকা ধান সংগ্রহ করেছেন আর এর ফলে গোখাদ্য প্রধান বিচুলির বদলে পোয়াল তৈরি হয়েছে যা কোন কাজেই লাগেনা। এখন ক্ষতিগ্রস্ত সকল কৃষকই সরকারের দিকে তাকিয়ে যদি কিছু আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায় তাহলে আগামীর চাষ হিসেবে মাঠে নামতে পারেন তারা। বহুমূল্যের কীটনাশক সার লঙ্কা বেগুন সরষে টমেটো মটরশুটি পালং শাক চারা গাছ জমিতেই নষ্ট হয়েছে।

Leave a Reply