মলয় দে নদীয়া :-দীর্ঘ গ্রীষ্মকালীন ছুটির পর খুলেছিল বিদ্যালয়। প্রথম সামেটিভ হওয়ার পর, দ্বিতীয় সামেটিভ শুরুর মুখে।
নদীয়ার শান্তিপুর সুত্রাগড় গার্লস হাই স্কুলেও আগামী ৭ ই আগস্ট থেকে ১৪ ই আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণীর ছাত্রীদের হতে চলেছে এই পরীক্ষা। জানা যায় বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অ্যাডমিট দেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে, কিন্তু সরকারি অবৈতনিক বিদ্যালয়ে কিছু সংখ্যক অভিভাবকরা অভিযোগ করছেন, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের কাছে ৫০ টাকা দাবি করেছেন। অন্যথায় পরীক্ষায় বসতে পারবে না তাদের মেয়েরা।
যদিও বিদ্যালয় থেকে জানা গেছে এই ৫০ টাকা ছাত্রীদের বিদ্যালয়ের মুখী করে তুলতে নেওয়া হচ্ছে যা একাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনা হয়।
বিদ্যালয়ের সামনে আজ প্রায় কুড়ি জন অভিভাবক-অভিভাবিকা তাদের মেয়েদের এডমিট কার্ড তুলতে এসে ফেরত যান। তারা জানান, বর্তমানে ঋতু পরিবর্তনের সময় ঘরে ঘরে সর্দি জ্বর ঠান্ডা লাগা তো রয়েইছে এমনকি কনজাংন্টিভাইটিস সহ বেশ কিছু রোগের ভাবে তাদের বাচ্চারা অনুপস্থিত ছিলো মাঝেমধ্যে। সে ব্যাপারে মেডিকেল দেওয়ার পরেও তাদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না এমনটাই নাকি জানিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে বিদ্যালয়ের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সচেতনতার অনুষ্ঠান করা সত্ত্বেও কিছু সংখ্যক শিক্ষিকা বিনা হেলমেটে বিদ্যালয়ে স্কুটি চালিয়ে আসা-যাওয়া এবং নিজেদের স্কুটি বারান্দায় তুলে রাখেন। ছাত্র-ছাত্রীদের সরকারি সাইকেল বৃষ্টি থেকে বাঁচানোর কোনরূপ প্রচেষ্টা না করা এ ধরনের নানা অভিযোগ তুলেছেন তারা।
যদিও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আইভি প্রামানিক জানান, ছাত্রীদের ন্যূনতম উপস্থিতি না থাকলে ৫০ টাকা ফাইন হিসাবে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নাকি হয়েছে একাডেমিক কাউন্সিলে, তবে সে প্রস্তাবও নাকি এসেছে কিছু সংখ্যক অভিভাবকদের পক্ষ থেকে।
যদিও অভিভাবকরা তা অস্বীকার করে বলেন, এ ধরনের কোন আলোচনা জানেন না কোনো অভিভাবক, তারাও চান তাদের মেয়েরা বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার বাড়ুক, কিন্তু শরীর খারাপ হলে তা মনে হবে না, অথবা পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না আবার বসতে দেওয়ার অনুমতি অর্থাৎ এডমিট কার্ড পেতে ৫০ টাকা দিতে হবে এই নিয়ম সরকারি অন্য কোন বিদ্যালয়ে আছে?
যদিও বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সভাপতি কিন্নর সেন, দুরাভাষে আমাদের জানিয়েছেন, পরিচালন সমিতির কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে একাডেমি কাউন্সিলে আলোচনার স্তরেই রয়ে গেছে , সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি । তবে অভিভাবকরা তা না চাইলে কখনোই তা জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হবে না। কোনো শিক্ষিকা কোন অভিভাবককে টাকা আনতে বলেছেন বলেও আমার জানা নেই।
যদিও কয়েকজন অভিভাবকরা তাদের মেয়ের মেডিকেল সার্টিফিকেট দেখান এবং ৫০ টাকা চাওয়ার ব্যাপারে, অনেকেই জানিয়েছেন তাদের আজ টাকা নিয়ে আসতে বলা হয়েছিলো। তবে আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কারণে তারা এই বাড়তি টাকা দিতে পারবেন না এই মর্মে তারা উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানাবেন বলেই জানিয়েছেন আমাদের।
আর সেই বিষয়ে আজ বিদ্যালয়ের সামনেই সকল অভিভাবকরা স্বাক্ষর সংগ্রহের কাজ শুরু করেন।