মলয় দে নদীয়া :- নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের একুশ আসন বিশিষ্ট গয়েশপুর পঞ্চায়েতে , এবারে বিজেপি দশটি আসন, তৃণমূল নটি আসন, এবং নির্দল একটি ও সিপিআইএম একটি করে আসন পেয়েছে। আর তার ফলেই, বোর্ড গঠন আকর্ষণীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে গয়েশপুর পঞ্চায়েতে। ১৩ নম্বর সংসদের ১২ নম্বর বুথ থেকে জয়ী সিপিআইএম প্রার্থী আব্দুল শেখ।
তিনি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওই অঞ্চলের দ্বিমুখী লড়াইয়ে, বিদায়ী পঞ্চায়েত বোর্ডের প্রধান শুকিলা বিবিকে হারিয়েছেন ৫৭ ভোটে। শুকিলা বিবি এর আগেও উপপ্রধান ছিলেন এই পঞ্চায়েতেরই। পঞ্চায়েত গঠনে নির্ণায়ক হিসাবে একমাত্র সবেধন লালমানিকে নিয়ে জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।
তবে জয়ের পরপর ওই রাতেই তার মুখ থেকে শোনা গেছিল তিনি বাইরন বিশ্বাস নয়, বামপন্থী আদর্শে বিশ্বাসী। এমনকি গত ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দুজন জয়ী সিপিআইএম কর্মী তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন তাদের মতন ব্যক্তি স্বার্থে বিশ্বাসী নন তিনি। সিপিআইএম নেতৃত্ব যা বলবেন তিনি সেই মতন কাজ করবেন।
গতকালকেও তার বামপন্থী সমর্থকদের সাথে, এলাকার তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ব্যাপক বোমাবাজি এবং মারামারির ঘটনায় তাকে খুঁজে পায়নি সিপিআইএম নেতৃত্ব। তখন থেকেই তৃণমূলে জল যোগদানের জল্পনা আরো প্রকট হচ্ছিল।
আজ সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে, বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামীর বাড়ির কার্যালয়ে তিনি এবং তার বেশ কিছু অনুগামী বিধায়কের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করেন। যদিও আজ সকালে তিনি বলেন, দলের টিকিট না পেয়েই তিনি সিপিএমের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, তার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ওই এলাকার প্রধান কে হারানো।
এ প্রসঙ্গে বিধায়ক বক্তব্য আকারে কিছু না বললেও যোগদান করা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সকলেই সুরক্ষিত এবং সম্মানিত থাকবে দলে। তবে আব্দুল যে তৃণমূলেরই কর্মী সে বিষয়ে তিনি ও নিশ্চিত করেন।
এ প্রসঙ্গে সিপিআইএম নেতৃত্ব জানান, ব্যক্তির মানসিকতার পরিচয় পাওয়া গেছে তবে জনগণের রায় কে অসম্মানিত করেছেন তিনি। আগামীতে জনগণ তার উত্তর দেবে। তবে ওই এলাকায় বামপন্থী কর্মীরা, আরো সংগঠিত হয়েছে লড়াই আন্দোলন জারি থাকবে। তবে যোগদানের জন্য শাসক দলের নানান চাপ সৃষ্টিকেও দায়ী করেছেন সিপিআইএম নেতৃত্ব।
তবে যোগদান করলেও, এখনো পর্যন্ত তিনি এলাকায় যাননি। এলাকায় এই বিষয় নিয়ে যথেষ্ট ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। অন্যদিকে দশজন বিজেপি বর্তমানে যোগদান এরপর ১০ জন তৃণমূল হওয়ার পরেও একজন নির্দল প্রার্থী এখন বোর্ড গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তবে ওই নির্দল প্রার্থী
আয়েশা খাতুন বিবির শশুর লতিফ শেখ
জানিয়েছেন, তিনি তার বৌমা নিজস্বতা নিয়ে থাকতে চান নির্দল হিসেবেই। বোর্ড গঠনে পরবর্তীতে কি হবে তা এখনই বলা যাবে না।