মলয় দে নদীয়া :- নদীয়ার মায়াপুর ইসকন মন্দিরে অস্থায়ী মাসির বাড়িতে শতাধিক পদে মহা আনন্দে খাওয়া দাওয়ায় দিন কাটছে ভগবান জগন্নাথদেব সহ ভ্রাতা বলদেব ও ভগিনী সুভদ্রার। নামেই ছাপ্পান্ন কিন্তু সংখ্যায় পদের সংখ্যা প্রায় আড়াইশো ছাড়িয়ে যায়। আর এভাবেই ইসকন মন্দিরে অস্থায়ী মাসীর বাড়িতে মহা আনন্দে খাওয়া-দাওয়া করে দিব্বি দিন কাটছে জগন্নাথদেব সহ বলরাম ও সুভদ্রা মহারাণীর। কি নেই মেনুতে? ফলমূল, শাক-সবজি থেকে শুরু করে চাউমিন, পিঠে পুলি, লুচি, পায়েস এবং বিভিন্ন রকমারী মিষ্টি। দেশি বিদেশি মেনুতে প্রায় জনা পঞ্চাশেক রাঁধুনি ও তাদের সহযোগীরা দিনভর দুবেলা জগৎপতি জগন্নাথের আতিথেয়তা দিতে ব্যাস্ত। আর ঠিক এভাবেই উল্টো রথ শুক্রবার পর্যন্ত মহা আনন্দে রকমারী পদ দিয়ে খাওয়া দাওয়া করে পুনরায় নিজের গন্তব্য রাজাপুর জগন্নাথ মন্দিরে ফিরে যাবেন। প্রতিদিন জগন্নাথ দেবকে ভোগ নিবেদনের পর প্রসাদ পাচ্ছেন কয়েক হাজার ভক্ত।
মায়াপুর ইসকন মন্দির পরিচালিত সম্প্রীতির এই রথযাত্রা উৎসবে , ‘হিন্দু ও মুসলমান সহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মেলবন্ধনে ইসকনের গুন্ডিচা মন্দির কে ঘিরে এক মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। এ বিষয়ে ইসকন মায়াপুর মন্দিরের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস মহারাজ জানান, গত মঙ্গলবার রথযাত্রার দিন ভগবান জগন্নাথদেব সহ বলদেব ও সুভদ্রা দেবী রাজাপুর জগন্নাথ মন্দির থেকে সুসজ্জিত তিনটি রথে চেপে দীর্ঘ পাঁচ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করার পর ইসকন মন্দির সংলগ্ন ভাগীরথী নদী তীরবর্তী অস্থায়ী মাসীর বাড়ি গুন্ডীচায় এসে পৌঁছেছেন। এই সাতদিন আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করি তাদের বিভিন্ন রকমারী পদ দিয়ে ভোগ নিবেদন করার। তিনি আরও বলেন, জগতের নাথ যে কদিন মাসীর বাড়িতে থাকবেন, ততদিন তাঁর পছন্দের সব ধরণের খাবার তৈরি করে তাঁকে সন্তুষ্টি করার চেষ্টা করেন তাঁর ভক্তরা। বছরে একটি বার ভ্রাতা ও ভগিনী কে নিয়ে মাসীর বাড়ি আসেন জগতের নাথ জগন্নাথ। তাঁর যত্ন আদিতে কোনও রকম খামতি না থাকে, তার জন্য সর্বদা খেয়াল রেখে চলেছে ইসকনের ভক্তরা। এছাড়াও ভগবান জগন্নাথদেব আগামী বুধবার উল্টো রথের দিন দুপুরের পর নিজগৃহ রাজাপুর জগন্নাথ মন্দিরে ফিরে যাবেন। ততদিন ইসকনে অস্থায়ী মাসীর বাড়িতে তৈরি সুসজ্জিত গুন্ডিচায় বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে।