৪৮ ঘণ্টার মধ্য বৃষ্টি নামানোর আশ্বাসে সুদীর্ঘ ১২ ঘন্টার শান্তিযোগ্য পাঁচ ব্রহ্মচারীর

Social

মলয় দে নদীয়া:- রেকর্ড গরম সকলের মুখোমুখে! প্রচন্ড দাবদাহে পুড়ছে মানুষ সহ সমগ্র জীব জগত। একটু বৃষ্টির জন্য হাপিত্যেস করে রয়েছেন তারা। এবার বৃষ্টি আসার আশ্বাস দিয়ে নদীয়ার শান্তিপুর হরিপুরের বাগদেবীপুর এলাকায় হলো শান্তি যজ্ঞ। বৃহস্পতিবার সকাল সাতটা থেকে রাত প্রায় ৯ টা পর্যন্ত চলল সেই যজ্ঞ। সমস্ত রকম নিষ্ঠাআচার মেনে সেই যজ্ঞে বৃষ্টির কামনায় দেয়া হয়েছে আহুতি।

নদীয়ার নাকাশিপাড়া থানার বেথুয়া ডহরি থেকে যজ্ঞ করার জন্য হাজির হয়েছিলেন পাঁচ জন ব্রহ্মচারী মানুষ। যারা প্রকৃতির বিভিন্ন উপাস্য দেব দেবীর মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে তাদের সন্তুষ্ট করে আশীর্বাদ চেয়ে থাকেন সর্বসাধারণের জন্য।

তারা সমস্ত নিয়ম-নিষ্ঠা মেনে বৃহস্পতিবার সকাল সাতটা থেকে শুরু করেছিলেন শান্তি যজ্ঞ। দেবী কালিকার সামনে দীর্ঘক্ষন ধরে সেই যজ্ঞে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে হাজির ছিলেন এলাকার প্রতিবেশী থেকে শুরু করে আত্মীয়-স্বজন পরিজন সকলে। বৃহস্পতিবার রাত প্রায় নটা নাগাদ যজ্ঞে আহুতি দেওয়ার পর ভাত ডাল এবং সবজি সহকারে ভক্তদের প্রসাদ বিতরণ করা হয়। যজ্ঞের অন্যতম রামানন্দ ব্রহ্মচারী জানিয়েছেন,’শুধু বৃষ্টির জন্য নয়, বন্যা সহ প্রাকৃতিক বিভিন্ন রকম বিষয় নিয়ে আমরা দেবী কালিকাকে সন্তুষ্ট করার জন্য এই যজ্ঞ করে থাকি। তবে এক্ষেত্রে প্রশ্ন থাকতেই পারে জলেশ্বর অর্থাৎ মহাদেবের উপাসনা না হয়ে দেবী কালিকার কেনো?

বিভিন্ন ধর্মীয় উপাখ্যান থেকে জানা যায়, স্ত্রীর অনুরোধ ফেলতে পারেন না, দেবাধিদেব। তাই মহাদেব কে সন্তুষ্ট করার জন্য দেবিকালিকার ভূমিকা অপরিহার্য। তাই দেবী কালিকাকে সন্তুষ্ট করার জন্যই করা হয় শান্তি যজ্ঞ। বৃষ্টি হওয়ার প্রার্থনা জানিয়ে এই যজ্ঞ করা হয়েছে। পরিবার প্রধান চিত্তরঞ্জন সরকার জানিয়েছেন,”আমাদের বিশ্বাস, আগামী দু তিনদিনের মধ্যেই বৃষ্টি নামবে। কারণ বিগত কুড়ি বছর আগে এইরকমই এক সংকটময় মুহূর্তে , মায়ের আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয়ে ধরিত্রী হয়েছিলো সিক্ত। সমগ্র প্রাণীকুল ফেলেছিলো স্বস্তির নিঃশ্বাস উদ্ভিদ হয়েছিলো শস্য শ্যামলা, এবারও তাই হতে চলেছে মায়ের কৃপায়।

Leave a Reply