মলয় দেঃ অবশেষে সুরধুনী বাঁচাও আন্দোলনে আংশিকভাবে সফল হলেন শান্তিপুরের নদী, পরিবেশকর্মী এবং বহু সচেতন নাগরিক৷ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এবং বৈষ্ণবকূলচূড়ামনি শ্রীঅদ্বৈত আচার্য স্মৃতি বিজড়িত শান্তিপুরের ঐতিহ্যবাহী সুরধুনী নদীটি মৃতপ্রায় অবস্থায় রয়েছে৷ নদীর মধ্যেই শান্তিপুরের বাবলা বাইপাসের ধারে অবৈধ নির্মানকার্য চলছে৷ এর বিরুদ্ধে পরিবেশ ভাবনা মঞ্চের নেতৃত্বে আন্দোলনে নেমেছিলেন নদীপাড়ের মানুষ, পরিবেশকর্মী এবং বহু সচেতন নাগরিক৷ তারা সুরধুনী নদী বাঁচানোর জন্য গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে তা সেচ দপ্তর সহ মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে নদী ভরাট বন্ধের আবেদন জানিয়েছিলেন এবং নদীটিকে পুন খননের দাবী জানিয়েছিলেন৷
স্থানীয় কাউন্সিলর, সংলগ্ন পঞ্চায়েত,পৌরসভার চেয়ারম্যান থেকে বিধায়ক প্রত্যেকেই তাদের নিজস্বভাবে নদী ভরাটের নিন্দা পত্র পাঠিয়েছিলেন উচ্চ মহলে।
প্রশাসনিক চিঠি চাপাটি ছাড়া পরিবেশ ভাবনা মঞ্চের পক্ষ থেকে গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি সুরধুনী নদীর উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত ১৫কিমি ব্যাপী পদযাত্রাও সংগঠিত করেন৷ অন্যদিকে তাদের চিঠির প্রেক্ষিতে সেচ দপ্তর কি ব্যবস্থা নিয়েছেন তা জানতে তথ্য জানার অধিকার আইন(RTI) মোতাবেক চিঠি দেওয়া হয় বলে জানা গেছে৷ সেই চিঠির প্রেক্ষিতে তথ্য জানার অধিকার আইন অনুযায়ী গত ২০শে মার্চ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ইরিগেশন এন্ড ওয়াটারওয়েস ডাইরেকটরেট-এর নদীয়া জেলার এসিট্যান্ট ইঞ্জিনীয়ার লিখিতভাবে জানান যে, তারা সুরধুনী নদী(খাল) এর ৩৩০০মি. পুনঃখননের জন্য তাদের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ পাঠিয়েছেন৷ এই চিঠি হাতে পৌঁছানোর পর যথেষ্ট উচ্ছ্বাস লক্ষ করা গেছে পরিবেশকর্মীদের মধ্যে৷ তারা ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন রাজ্য সরকারের শেষ দপ্তরের এই সিদ্ধান্তের। পরিবেশকর্মীরা জানিয়েছেন যে, সত্যিই যদি সুরধুনী নদীটিকে সংস্কার করা হয় তবে সেটি রাজ্যের মধ্যে দৃষ্টিন্ত স্থাপন করবে৷ তবে তাদের দাবি অনুযায়ী ১৪ কিলোমিটার বিস্তৃত এই নদী পথের সামান্য একটি অংশ সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার, উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত বাকি অংশেরও পুনরুদ্ধার প্রয়োজন বলে তারা মনে করেন।