দেবু সিংহ,মালদা: নবরূপে সেজে উঠেছে থানা। থানার দেওয়ালে লেখা বিভিন্ন সচেতনতা মূলক বার্তা।মূল ফটোকে ঢুকতেই সাজানো হয়েছে ট্যাবলো।পুলিশের এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানাচ্ছে এলাকার সকলে।দিনের পর দিন বাড়ছে পথ দুর্ঘটনা।যুব সমাজের মধ্যে বাড়ছে বেপরোয়া গতিতে মোটর-বাইক চালানোর প্রবণতা।যার ফলে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা-গ্রস্ত হতে হচ্ছে যুবকদের।চলে যাচ্ছে তরতাজা প্রাণ।আর পথ দুর্ঘটনা নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতেই রাজ্য সরকারের সেভ ড্রাইভ সেভ লাইফ ক্যাম্পেন। আর সেই ক্যাম্পেনকেই এবার দারুন ভাবে তুলে ধরলো মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি দেওদূত গজমেরের উদ্যোগে নবরূপে সেজে উঠেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা। থানার দেওয়ালের গায়ে গায়ে নীল সাদার উপর হলুদ রঙে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন বার্তা। পরিবেশ সুরক্ষা, শিশু শ্রম, বাল্যবিবাহ, ড্রাগস সহ বিভিন্ন সামাজিক বিষয় নিয়ে বার্তা লেখা হয়েছে দেওয়ালে।তবে সব থেকে বেশি নজর কেড়েছে যে বিষয়টি সেটি হল ট্যাবলো। থানার মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করলে দেখা যাচ্ছে সাজানো রয়েছে বেশ কয়েকটি ট্যাবলো।হেলমেট ছাড়া বাইক চালালে কি বিপদ ঘটতে পারে ট্যাবলোর দ্বারা সেই বার্তায় দিয়েছে পুলিশ।যা দেখে সাধুবাদ জানিয়েছে এলাকার মানুষেরা।প্রশংসা করেছে জেলা পুলিশ মহল। হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায় দিনের পর দিন দুর্ঘটনা বাড়তে থাকার ফলে যুব সমাজকে সচেতন করতে এই ধরনের উদ্যোগ।হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি দেওদূত গজমের জানিয়েছেন রাস্তায় মোটর বাইক নিয়ে বেরোলে হেলমেট পড়া বাধ্যতামূলক।কোন বাইক আরোহী সেই নির্দেশ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ গোলাম মোর্তজা রেজা বলেন, ট্যাবলোর মাধ্যমে খুব সুন্দর করে বার্তা দিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।দিনের পর দিন পথ দুর্ঘটনা বাড়ছে।যুব সমাজকে সচেতন করতে পুলিশের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ যে সঠিক সময়ে সঠিক উদ্যোগ নিয়েছে তার জন্য আমরা খুশি।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকাতেই মাঝে মাঝে ঘটছে বাইক দুর্ঘটনা।বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বেপরোয়া গতিই হচ্ছে দুর্ঘটনার কারণ। তবুও মাথায় হেলমেট থাকলে দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে অনেকাংশে রক্ষা পেয়ে যায় বাইক আরোহী। কিন্তু হেলমেট না থাকলে ঘটে যায় বড় রকমের দুর্ঘটনা। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ সচেতনতা গড়ে তুলতে যথেষ্ট তৎপর। বিভিন্ন সময় দেখা যাচ্ছে পুলিশের বিভিন্ন উদ্যোগ। এখন পুলিশের এই বার তারপর এলাকার যুব সমাজ কতটা সচেতন হয় সেটাই দেখার বিষয়।