মলয় দে নদীয়া:- সম্প্রতি শান্তিপুর কলেজের বেশ কিছু ছাত্র , সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে 2022- 23 শিক্ষাবর্ষের শিক্ষামূলক ভ্রমণের উদ্দেশ্যে তারা পৌঁছেছে ঝাড়খন্ড রাজগীর বিহারে।
যেখানে বাসের একদিকে যেমন একটি ক্লাবের ব্যানার রয়েছে অন্যদিকে রয়েছে শান্তিপুর কলেজের নাম। তবে উভয় ক্ষেত্রে শিক্ষামূলক ভ্রমণ। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যায় ,যেখানে ওই ক্লাবের সদস্য থেকে শুরু করে বেশ কিছু পরিবারও রয়েছে।
তবে ছাত্রদের ওই পোষ্ট দেখে , রানাঘাট কলেজের অধ্যাপক তথা বিজেপি দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক ড: সোমনাথ কর, জানতে চান বিস্তারিত।
তিনি আমাদের বলেন, ভাবতে অবাক লাগে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে কিভাবে কলেজের নামে ছাপানো ব্যানার ব্যক্তিগতভাবে বেড়াতে গিয়েও ব্যবহার করা যায়! সর্বোপরি কিছু ছাত্র তো রয়েইছে শান্তিপুর কলেজের, যদি কোনো, বিপদ ঘটে তাহলে দায় এসে পড়বে শান্তিপুর কলেজের। একজন অধ্যাপক হওয়ার সুবাদে, শিক্ষামূলক ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যাওয়ার যথেষ্ট নিয়ম কানুন জানি, সেখানে শিক্ষক শিক্ষিকাদের উপস্থিতি অবশ্যকীয়। তবে রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থা যেভাবে ধ্বংস হয়েছে, তা বোঝা যায় এ ধরনের বিভিন্ন প্রশ্রয়ের কারণে, শান্তিপুরের বড় জিয়াকুড় এলাকায় একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের উন্মত্ত নৃত্যও দেখতে হচ্ছে আমাদের, যার ফলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর ক্রমশ শ্রদ্ধা হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
শান্তিপুর কলেজের প্রিন্সিপাল ড: চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের সাথে, তিনি বলেন গতকালকেই বিভিন্ন সূত্র মারফত জানতে পেরেছেন, শান্তিপুর কলেজের ব্যানার ব্যবহার করা হয়েছে ভ্রমণের বাসে। অর্থ মঞ্জুর তো দূরে থাক, অন্যতম অনুমতি পর্যন্ত দেওয়া সম্ভব নয় কারণ কলেজে ফিপথ সেমিস্টারের পরীক্ষা চলছে, তবে কে বা কারা এ কাজ করেছে তা খতিয়ে দেখবে কলেজ কর্তৃপক্ষ। নিশ্চয়ই তাদের কাছে কৈফিয়ৎ জানতে চাওয়া হবে, এত বড় আস্পর্ধা তারা কোথা থেকে পাচ্ছে।
শিক্ষা ভ্রমণের বিষয়ে শান্তিপুর কলেজের গভর্নিং বডির প্রেসিডেন্ট তথা বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী জানান বিষয়টি তার জানা নেই, তবে কলেজের অনুমতি না নিয়ে ব্যানার ব্যবহার করলে তা অবশ্যই অন্যায়।
ভারতের ছাত্র ফেডারেশনের শান্তিপুর আঞ্চলিক পরিষদের সম্পাদক বাবলু শেখ কটাক্ষ করে বলেন, বিগত করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ছাত্রছাত্রীরা কেমন আছে তা খোঁজ নেয় নি তৃণমূল ছাত্র পরিষদ, এমনকি পরবর্তী সময়ে ছাত্রদের ভর্তির ফিস কমানো নিয়েও আন্দোলনে দেখা যায়নি, আসলে ছাত্র-ছাত্রীদের বিপদে পরিচালনা করে ভুল বুঝিয়ে নিজেদের পাশে রাখার অপচেষ্টা করে থাকে অবৈধ উপায়ে উপার্জিত অর্থে। বহু ইতিহাস প্রসিদ্ধ গৌরবান্বিত শান্তিপুর কলেজের গায়ে কালি ছেটাচ্ছে ওরা।
নদীয়া দক্ষিণ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি রুপম পাল জানান, কলেজের ব্যানার ব্যবহার করাটা অবশ্যই ভুল, তবে এ বিষয়ে প্রিন্সিপাল নিশ্চয়ই কৈফিয়ত চাইবেন। তবে এই নিয়ে বিজেপি এবং সিপিএমের রাজনৈতিক করা একান্তই স্বভাব সিদ্ধ। ওদের কোন কাজ নেই তাই সব কিছুতেই রাজনীতি খোঁজে।
ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সংগৃহীত