দেবু সিংহ,মালদা:-কথায় বলে, যে রাধে সে চুল ও বাঁধে। তাই সংসার সামলিয়ে ঠাকুরদা ও বাবার পরম্পরাকে নিজের হাতেই তুলে নিয়েছে মালদার মাস্টার ডিগ্রি পাস করা গৃহবধূ ব্রততী পণ্ডিত দাস। মালদার বিশিষ্ট মৃৎশিল্পী সুকুমার পন্ডিতের হাত ধরেই তার একমাত্র মেয়ে ব্রততী পন্ডিত দাস এবারেও দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরি থেকে পুজো মণ্ডপের সাজসজ্জার কাজ শুরু করেছেন।
এবছর মালদা শহরের বিনয় সরকার রোডে অবস্থিত ঝংকার ক্লাবের দুর্গা পুজোর বিশেষ এক থিমের তৈরি মন্ডপের কাজ করছেন ব্রততী পন্ডিত দাস ।ঝংকার ক্লাবের এবারে ৭৫ তম বর্ষ । পুজোর থিম ভয়ালদর্শী উমা, সঙ্গে ধ্যানমগ্ন বুদ্ধ। ভারতের প্রাচীন নাট্যশাস্ত্রের আটটি রসরঙ্গ উঠে আসবে ঝংকার ক্লাবের পুজোর এই থিমের মাধ্যমে। পুজোর পুরো থিমের সজ্জা, অংকন এবং দেবি প্রতিমার তৈরীর কাজে হাত লাগিয়েছেন গৃহবধূ ছাত্রী ব্রততী পন্ডিত দাস।
উল্লেখ্য , মালদা শহরের হাটখোলা এলাকায় অবস্থিত স্বনামধন্য মৃৎশিল্পী সুকুমার পন্ডিতের বাড়ি । সেখানেই রয়েছে তাঁর প্রতিমা তৈরীর কারখানা। বিয়ের পরেও বাবার সঙ্গে প্রতিমার সাজসজ্জা, পুজো মন্ডপের রূপ দেওয়ার কাজ করে চলেছেন ব্রততী পন্ডিত দাস। একইসঙ্গে প্রতিমা তৈরীর পাশাপাশি সংসারের কাজ সামলিয়ে চলছে অধ্যাপক হওয়ার পরীক্ষার প্রস্তুতির কাজও।
ঝংকার ক্লাবে এবারের পূজোর থিমের সম্পূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে পন্ডিত পরিবারের। ব্রততী পন্ডিত দাস জানিয়েছেন , ভয়ালদর্শী উমা সঙ্গে ঘ্যানমগ্ন বুদ্ধ এই থিমের উপর ঝংকার ক্লাবের পূজা মন্ডপ তৈরি হচ্ছে। কিছু নাট্যশাস্ত্রের চিত্র এবারে ঝংকার ক্লাবের পুজো মন্ডপে তুলে ধরা হচ্ছে। এই থিমের সম্পূর্ণ কাজ আমি করছি। বিয়ের আগে থেকেই বাবার হাতেই প্রতিমা গড়া ও অঙ্কন শয্যার কাজ শিখেছি। বংশের পরম্পরাকে টিকিয়ে রাখতে সেই কাজ এখনো আমি করে চলেছি। এর সঙ্গে সংসারও সামলাচ্ছি। যদিও আমার এই কাজে শ্বশুরবাড়ি থেকে অত্যন্ত প্রশংসা বোধ করেছেন। বরঞ্চ তাঁরা এই কাজ করার জন্য আরও বেশি করে আমাকে উৎসাহিত করছেন। তাই ভালো লাগছে। এবারের কিছু বৈচিত্র্যময় দৃশ্য ঝংকার ক্লাবের পূজা মন্ডপে দেখা যাবে। যা অংকনের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে। আশা করছি এবারে পুজোর এই অভিনব থিম মালদা শহরের বিশেষ জায়গা করবে ঝংকার ক্লাবের পুজো মণ্ডপে আগত দর্শনার্থীদের আকর্ষণও বাড়াবে।