মলয় দে নদীয়া:- যে বছর ব্যবসা ভালো, সে বছর ভারী ওজনের রুপোর গহনা, যে বছর ব্যবসা মন্দা সে বছরেও আংটি বাজুবন্দ অথবা টিকলি বা কপালের চাঁদ, এভাবেই আটানব্বই সাল থেকে শান্তিপুরের এক ব্যাক কারখানার বিশ্বকর্মা সুসজ্জিত হয়ে আসছেন। মাথার মুকুট, চার হাতে কুড়িটি আঙুলেই আংটি, কানের ঝুমকো দুল, বাজুব্দ, টায়রা টিকলি, কটিবন্ধন, বক্ষ কবজ, গলার হার, হাতের চাঁদ মালা, চরণ পদ্ম,এমনকি পায়ের জুতো পর্যন্ত রুপো দিয়ে তৈরি অলংকারে সুসজ্জিত হন বিশ্বকর্মা। বাদ যায়নি বাহন হাতিও
তারও কানপাশা,চার পায়ের বেড়, শুঁড়বন্ধন, দুই দাঁত, পিঠের আসন , গলার ঘন্টা সবকিছুই রুপো দ্বারা নির্মিত।
পুজোর বেশ কিছু উপকরণ সহ নারায়ণ শিলা রাখা সিংহাসনও তাই। তবে১৯৯৮ সাল থেকে পূজিত এই বিশ্বকর্মার চার হাতের যন্ত্রপাতি এখনো রয়েছে লোহার। আর আগামীতে সেগুলি রুপায় রুপান্তরিত করতে পারলেই ব্যাগ কারখানার মালিক সুব্রত ঘোষের ইচ্ছা পূরণ সম্পূর্ণ হবে। তিনি বলেন বিশ্বকর্মার আশীর্বাদে একসময় টালির ঘরের কারখানা থেকে আজ ইমারত তৈরি হয়েছে। তিনি যদি কৃপা করেন তাহলে আগামীতে সোনারও হতে পারে। সবই তাঁর ইচ্ছা। মৃৎশিল্পী মুন্না পালের কারখানা থেকে ঠাকুর রঙ হয়ে সুব্রত বাবুর বাড়িতে বিশ্বকর্মার আসার পর সুসজ্জিত হন।আনুমানিক সাড়ে চার কেজির বেশি ওজনের রুপোর গহনাও সারা বছর নিরাপত্তায় থাকার পর আজকের দিনে আসে কারখানায়।