মলয় দে নদীয়া:- কষ্ট উপার্জিত অর্থ দিয়ে পুঁথিগত শিক্ষা দিলেও জন্মদাতা পিতাও কখনো কখনো প্রতারিত হন নিজের ছেলের কারসাজিতে।
এমনই এক ঘটনায় চাঞ্চল্য নদীয়ার শান্তিপুর সূত্রাগর কারিকরপাড়ায়। সেখানে ৬৮ বছর বয়সি আমির আলী কারিকর তার স্ত্রী মসলিমা বিবি সরকারি আবাস যোজনা প্রকল্পে পাওয়া ঘরে বাস করেন অবিবাহিত ছোটো ছেলে হাসিবুল কারিকর কে সাথে নিয়ে। হাসিবুলের তিন বোনের বিবাহ হয়ে গেলেও তিন ভাই বর্তমান। দুইভাই বাবার নামে থাকা আজাদ পল্লীর জমিতে বাসস্থান নির্মাণ করে বাবার সম্মতিক্রমে। সূত্রাগড় কারিকরপাড়া স্ট্রিটের ৩ .২৫ শতক জায়গায় সেজো ছেলে জাসিকুল ইসলাম এবং ছোট ছেলে হাসিবুল বাস করে। এর মধ্যে জাসিকুল অবশ্য নিজের দ্বিতীয় পক্ষের পরিবার নিয়ে বাবার করে দেওয়া গৃহেই বাস করছে ওই জমিতে।
গতকাল সন্ধ্যায় জার্সিফুল বাবার কাছে আসে তার নামে সরকারি একটি গৃহ আবাস প্রকল্পের নো অবজেকশন নিতে। পড়াশোনা না জানার কারণে বাবা সেই কাগজটি রেখে, দেখায় প্রতিবেশী এবং ছোট ছেলেকে। নিজের ঘর থাকা সত্ত্বেও গৃহ আবাস প্রকল্পে আবার কিভাবে ঘর পায় সে ব্যাপারে সন্দেহ হয়েছিল প্রতিবেশীদের । এরপর টাইপ করা ওই লেখা দেখে সকলের চক্ষু চড়ক গাছ। স্পষ্ট লেখা পিতা আমির আলী কারিগরের গৃহ আবাস প্রকল্পের বাড়িসহ ১.১৬ শতক দান করছেন সেজো ছেলেকে।
এরপরেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বৃদ্ধ ওই দুই দম্পতি ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় তার জন্য শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা করেন।