সন্ধ্যা নামতেই মেলেনা গাড়ি ! ত্রাতা হয়ে পাশে দাঁড়ান হবিপুরের নিখিল রায়

Social

দেবু সিংহ,মালদাঃ-সন্ধ্যা নামতেই এলাকায় আর গাড়ি দেখা মেলে না সমস্যায় পরতে হয় বাস স্যান্ড থেকে পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের থাকা গ্রামের বাসিন্দাদের । মালদার হবিবপুর ব্লকের আকতৈল গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২ মাইল এলাকায় নেই কোন গেস্ট হাউস, নেই থাকা ও খাওয়ার জায়গা।যার ফলে সন্ধ্যে নামতেই সমস্যায় পরতে হয় সাধারন মানুষকে। হাতে গোনা কয়েকটি গাড়ি চলেও সন্ধ্যের পর আর দেখা মেলেনা গাড়ির। বহু দূর দুরান্ত থেকে বাস থেকে নামতেই সমস্যার মুখে পড়তে হয় ১২ মাইলের দুই প্রান্তে বয়ে যাওয়া দুটি রাস্তা দূরদুরান্তের গ্রামের বাসিন্দাদের ১২ মাইল স্যান্ডের পূর্ব প্রান্তে দাল্লা,পার্বতীডাঙা কুটাদহ,পান্নাপুর সনঘাট সহ বিভিন্ন গ্রাম পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্ত মিলিয়ে রয়েছে প্রায় ৩৫টি গ্রাম আর এই গ্রামে একটি মাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থা ১২মাইল বাস স্যান্ড।

মালদা নালাগোলা রাজ্যে সড়কে বাস চলাচল করে প্রায় নটা পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় থেকে বাড়ি ফেরার পথে নামতে হয় এই ১২মাইলে স্যান্ডে। সন্ধ্যা নামতেই সমস্যা বাড়ি ফেরার প্রায় ৭টার পরে মেলে না কোন গাড়ি বা ভুটভুটি ভ্যান যার ফলে দুই প্রান্তে থাকা গ্রামের মানুষকে রাত কাটাতে হয় খালিপেটে দোকান ঘরের চালায় কখনো আবার খোলা আকাশের রাস্তার ধারে বসে ।

সেই সমস্যা দেখে নিজেকে ঠিক রাখতে পারেনি ১২ মাইল স্যান্ডের এক ব্যাক্তি নিখিল রায়,তার নেই কোন রাজ প্রাসাদ নেই কোন হোটেল, নিজের ভাঙাচোরা বাড়িতে শুরু করেন গেস্ট হাউস সেখানে বিনামূল্য সেই গেস্ট হাউসে থাকা ও খাবার দেবেন। তিনি তার বাড়ির সামনে ফেস্টুনে বড়ো বড়ো করে লেখা রয়েছে ১২ মাইলে নেমে কোন লোকজন বাড়ি যেতে না পারলে তাহাদের থাকিবার জায়গা আমার বাড়িতে এবং রাতের খেতে দেব কোন পয়সাকড়ি নেব না। নিখিল বাবুর সে ভাবে উপার্জন না থাকলেও তিনি বাস স্ট্যান্ডে রাতের অন্ধকারের মানুষের কষ্ট দেখে নিজের বাড়িতে গেস্ট হাউস খুলে বসেছেন।

এবিষয়ে নিখিল রায় বলেন,সন্ধ্যাের পর আমাদের এই ১২মাইল বাস স্যান্ড থেকে ভেতর গ্রাম গুলিতে যাওয়ার কোন ব্যবস্থা থাকেনা যার ফলে স্যান্ডে খোলা আকাশের নিচে খালিপেটে রাত কাটাতে হয় তা দেখে নিজের বাড়িতে গেস্ট হাউস করেছি সেখানে থাকা ও খাওয়ার জন্য কোন মূল্য লাগেনা এক বছর ধরে এই গেস্ট হাউস চলছে কোন সরকারি সাহায্য এখনো পাইনি নিজের খরচে চালিয়ে যাচ্ছি প্রশাসনের তরফে বলেন যারা থাকে তাদের আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড দেখে নিতে।

Leave a Reply