মলয় দে নদীয়া:-প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং চিকিৎসক ডক্টর বিধান চন্দ্র রায়ের একই দিনে জন্ম এবং মৃত্যু দিবসেই হয় ডক্টর্স ডে।গত দুবছর করোনা পরিস্থিতির কারণে এই দিনে, চিকিৎসক থেকে নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী সকলেরই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে জরূরীকালীন স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়েছেন। অনেকে মারাও গেছেন। লকডাউন এর পর থেকে স্বাভাবিক হয়ে ওঠা জীবনযাত্রার ব্যস্ততায় এবং লাগামহীন উচ্ছ্বাসে ভুলেছেন স্বাস্থ্যবিধি। আর তার ফলেই হয়তো বেশ খানিকটা করোনা গ্রাফ এক ধাক্কায় পৌঁছেছে চিন্তার শিখরে।
রাজনৈতিক সভা সমিতি, আচার অনুষ্ঠান, সামাজিক বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সকলের অলক্ষে ক্রমবর্ধমান করোনার গ্রাফ। দেখতে দেখতে নদীয়া জেলার করোনা আক্রান্ত সংখ্যা আজকের দিনে দাঁড়িয়ে ৬৩০৬৯ জন। উল্লেখযোগ্য রানাঘাট ১০৭১৯, কৃষ্ণনগর ৯৩৭৩,চাকদহ ৭৮১৮,শান্তিপুর ৪৩৮৩ জন।
নদীয়ার বাকি বিভিন্ন ব্লক এবং পৌরসভায় ।আক্রান্তের সংখ্যা কম নয়। ইতি মধ্যেই জেলার মধ্যে এবং জেলার বাইরে চিকিৎসারত অবস্থায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৩২৫ জন।
একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের সচেতনতা কমেছে, ঠিক তেমনি প্রশাসনিক ঔদাসীনতাও বেড়েছে।আজকের এই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিনে আমরা পৌঁছেছিলাম শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে অন্য আর পাঁচটা দিনের থেকেও আজ চিকিৎসকরা রয়েছেন বেশি ব্যস্ত। রথযাত্রা হওয়ার কারণে এবং ঘুড়ি উড়াতে গিয়ে নানান দুর্ঘটনায় অত্যন্ত তৎপর রয়েছেন তারা। তার মধ্যেই, বেশ কিছুদিন বাদে চিকিৎসারত এক রোগীর দেহে মিলেছে করোনার উপসর্গ, সাথে দুজন স্বাস্থ্য কর্মীও আক্রান্ত হয়েছেন।
হাসপাতাল সুপারেনটেন্ড ডক্টর তারক বর্মন, ডাক্তার স্বাস্থ্যকর্মী নার্সদের নিয়ে ডক্টর বিধান চন্দ্র রায়ের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে, জানান সকলকে আবারো সচেতন হতে। ভ্যাকসিন নিয়ে নেওয়া মানেই সম্পূর্ণ নিরাপদ এমনটা নয়, মাস্ক এবং স্যানিটাইজার এখনো অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জনবহুল এলাকায়। রোগী সুস্থ থাকলে ডাক্তাররা খুশি হন সবচেয়ে বেশি, তাই তাদের সাথে সকল স্বাস্থ্য কর্মীদের সাথে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান আজকের এই বিশেষ দিনে।