মলয় দে নদীয়া :- যোগ, এই শব্দটি সংস্কৃত শব্দ ‘ইউয্’ থেকে এসেছে যার মানে হল একত্রিত। আত্মার সাথে পরমাত্মার সংযোগ। পতঞ্জলির সংঞ্জানুসারে যোগ মানে হল মনের পরিবর্তনকে নিয়ন্ত্রণ করা। বিভিন্ন ধরণের যোগ থাকলেও, প্রত্যেক ধরণের যোগের উদ্দেশ্য হল মনকে নিয়ন্ত্রণ বা বশ করা।
হিন্দু দর্শনে যোগের প্রধান শাখাগুলি হল রাজযোগ, কর্মযোগ, জ্ঞানযোগ, ভক্তিযোগ ও হঠযোগ।
পূরাণ’অনুযায়ী, মহাদেব শিব-এর থেকেই প্রথম ভারতীয় সংস্কৃতিতে যোগ-এর সংস্রব ঘটেছে। কিন্তু, প্রথম কোন সময় থেকে এদেশের সংস্কৃতি ও অভ্যাসে যোগ-এর প্রবেশ তা স্পষ্ট নয়। মহাদেব শিবকে ‘আদি যোগী’ নামেও অভিহিত করা হয়। যার অর্থ, প্রথম গুরু। দেশের সব যোগীরাই শিবকে ‘গুরু’ মেনেই চলেন। পাঁচ হাজারেরও বেশি বছর ধরে যোগ চর্চা চলে আসছে ভারতে। তবে সাম্প্রতিক কালে 2014 সালে যোগের প্রতি বিশ্বের নজর আকর্ষণ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আন্তর্জাতিক মহলের সামনে তুলে ধরেছেন যোগ-এর গুরুত্ব এবং ভারতের সঙ্গে এর নাড়ির সম্পর্ক। প্রসঙ্গত 2014 সালের সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে 21শে জুন বিশ্ব যোগ দিবস পালনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামদর মোদী।
প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি অশোক কুমার মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে একটি খসড়া পেশ করা হয়। যা 193টি দেশের মধ্যে 177টি দেশ সমর্থন করে। এবং 21 জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালনের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রতিবছর এই এই বিশেষ দিনটিতে প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। দেশ জুড়ে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, সরকারি ভবন, এমনকি ক্লাব বারোয়ারি পর্যন্ত এই দিনের পুরুত্ব সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে নানান রকম অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকেন। নদিয়ার কৃষ্ণনগরে বৈদিক যোগ সমিতি র সহযোগিতায় নদীয়া জেলার হেড অফিস কৃষ্ণনগর বিএসএফ সেক্টরে ডিআইজি অম্বরিশ কুমার আরিয়ার নেতৃত্বে যোগা অনুশীলন প্রদর্শিত হয়। যেখানে ডিআইজি আজকের গুরুত্ব সম্পর্কে , রোগ নিরাময়ে এবং সুস্থ থাকতে বিভিন্ন ধরনের যোগের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেন।