নিউজ সোশ্যাল বার্তা: নদীয়া জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম ধাওড়া পাড়া, রামচন্দ্রপুর , তেহট্ট থেকে প্রায় কুড়ি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি আদিবাসী ছোট্ট গ্রাম । মূলত মহিলাদের রোজগারেই তাদের সংসার চলে । গ্রামের অধিকাংশ পুরুষ-ই সুরা পানে আসক্ত । ২০২০’র দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে এখনো যেখানে দারিদ্রের অভিশাপে মাথা নুইয়েছে শিক্ষা; যেখানে আজো শিক্ষাকে বিলাসিতার খাতায় নাম লেখানো হয় ।
এই প্রান্তিক মানুষদের সহযোগিতার জন্য এগিয়ে এসেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ওয়েবস্টার সার্ভিসেস সোসাইটি। সংস্থাটির প্রচেষ্টায় আজ ওই গ্রামে পৌঁছেছে প্রয়োজনীয় শীত বস্ত্র কম্বল-কাপড় আর পৌঁছেছে আশ্বাস ।
শিক্ষার আশ্বাস, স্বপ্নের আশ্বাস, দারিদ্রের শৃঙ্খলকে ভেঙে দৃঢ় হয়ে নিজের অস্তিত্বকে প্রকাশ করার আশ্বাস।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি নতুন বছরের প্রতি সপ্তাহে ওই গ্রামের শিশু দের জন্যে বিশেষ শিক্ষা ব্যবস্থা, নাচ এর ক্লাস , ছবি আঁকা ইত্যাদির ব্যবস্থা করেছে। মানুষের ভালোবাসায় গ্রামটি নিয়ে তাঁরা আরও এগোতে চায়। সংস্থার পক্ষ থেকে তন্ময় বিশ্বাস বলেন, “মানুষের উপর আমরা ভরসা রাখি, মানুষ আমাদের পাশে থেকেছেন, তাই এবার পুজোতেও ‘উৎসবে ওরাও হাসুক’ এ আমরা কলকাতা সহ রাজ্যের ৯টি স্থানে প্রায় ২০০০ অনাথ তথা পথ শিশুর হাতে তুলে দিয়েছি পুজোর নতুন জামা।এখানে এসে শীতে মানুষের অবস্থা দেখে আমরা এই গ্রামের পরিবার পিছু হাতে তুলে দিচ্ছি কম্বল, ‘মুক্ত বাজার’ এর মাধ্যমে বাচ্চাদের দেওয়া হচ্ছে শীতের জামাকাপড়। এরপর এই গ্রামের শিক্ষা ও ন্যূনতম প্রয়োজন নিয়ে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে। ”
কৌশিক বাবু বলেন,” প্রতিবার এর মত মানুষ আমাদের পাশে থাকলে, আমরা স্বপ্ন পূরণ করবোই। আর স্বপ্ন দেখি বলেই গ্রাম টি কে নতুন করে গড়ে তুলতে টিম ওয়েব স্টার এগিয়ে এসেছে। “