মলয় দে নদীয়া:- ক্যান্সারের কেমোথেরাপিতে মাথার চুল উঠে যাওয়ার পর মহিলারা সৌন্দর্য হারান। অনেক সময় লোকসমাজে বেরোতেও ইতস্তত করেন। তবে ইদানিং সেইসব মহিলাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এ প্রজন্মের বেশ কিছু তরুণী, তারা তাদের শখের চুল দান করে থাকেন অন্য মহিলার মুখের হাসি ফোটাতে।
কিন্তু কোনো যুবক, বোধহয় এই প্রথম এ বিষয়ে এগিয়ে আসলো। চুল না কেটে বড় করার সংকল্প দীর্ঘ দুই বছর আগে নেওয়া, অবশেষে সফলতা লাভ করলো আজ।
বহুদিন ধরেই সুপ্ত ইচ্ছা ছিল ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের জন্য কিছু করার! বছর চব্বিশের অনির্বাণ দত্ত বাড়ি কৃষ্ণনগর কাঁঠালপোতা! মানুষের পাশে থাকা তার একটি অন্যতম নেশা! একজন নিয়মিত রক্তদাতা! তিন মাস অন্তর নিজের রক্ত দান করেন এবং বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে রক্তদান শিবিরের আয়োজনও করেন! করোনাকালীন পরিস্থিতিতেও বারংবার থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের জন্য রক্তদানে ছুটে এসেছেন তিনি! সোশ্যাল মিডিয়া সূত্রেই জানতে পারেন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের কেমোথেরাপির পর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের সমস্ত চুল উঠে যায়! সেই সময় মহিলাদের ক্ষেত্রে তাদের সৌন্দর্য রক্ষার্থে প্রয়োজন হয় পরচুলা বা উইবস,যা প্রস্তুত হয় মানুষের চুল দিয়ে! ফেসবুক মারফত তিনি যোগাযোগ করেন মুম্বাইয়ের একটি ক্যান্সার হসপিটাল এর সাথে!তিনি জানতে পারেন কমপক্ষে 12 ইঞ্চি চুল প্রয়োজন পড়ে চুল দানের ক্ষেত্রে এবং তারপর থেকে শুরু হয় মাথার চুল ধীরে ধীরে বাড়তে দেওয়ার! 2 বছর ধৈর্য সহকারে বড় করেন নিজের চুল! প্রথম প্রথম অনেকেই তাচ্ছিল্য করেছিল কিন্তু কোন কথারই গুরুত্ব দেননি অনির্বাণ! আজ হোলো অপেক্ষার শেষ দিন! আজ তিনি তার চুলের 12 ইঞ্চি কেটে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের জন্য দান করলেন!