দিঘায় যাওয়া পর্যটকদের জন্য সুখবর! সরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠলো ইকো অ্যান্ড ন্যাচারাল হাব

Social

তমলুক: দিঘায় যাওয়া পর্যটকদের জন্য সুখবর। একটানা আর দিঘার পথে গাড়ি চালানোর ধকল নয়। মাঝে সরকারি ফার্ম হাউসে বিশ্রাম নিয়ে আবার দিঘার পথে যাত্রা শুরু করুন। কোন পথসাথীর কথা এখানে বলা হচ্ছে না। দিঘা যাওয়ার পথে সরকারি উদ্যোগে তৈরি হয়েছে বিশাল জায়গা জুড়ে ফার্ম হাউস। কলকাতা থেকে দিঘা যাওয়ার রাস্তায় ১১৬ বি জাতীয় সড়কের পাশে তৈরি হয়েছে ডব্লিউ বি সি এ ডি এর সি ফার্ম হাউস।

কলকাতা থেকে যেসব পর্যটকেরা দীঘা গাড়ি বা বাইক নিয়ে যাতায়াত করেন তাদের একটানা গাড়ি চালানোর ধকল কমবে মারিশদা থানা এলাকার ইড়িঞ্চি ক্যানেলের ধারে গড়ে ওঠা ইকো অ্যান্ড ন্যাচারাল হাব অবসারিকা। পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তর অধীনে সিএডিসি তমলুকের উদ্যোগে গড়ে উঠেছে এই ফার্ম হাউস।

কি রয়েছে এই ইকো অ্যান্ড ন্যাচারাল হাব অবসারিকায়? ইড়িঞ্চি ক্যানেলের ধারে গড়ে ওঠা এই অবসারিকা রয়েছে দুটি কটেজ। রেস্টুরেন্ট। চা কফি স্ন্যাকস সহ পাওয়া যাবে লাঞ্চ ও ডিনার। ঘোরার জন্য বিশাল আমবাগান, বাগানে দোলনার ব্যবস্থা করা হয়েছে, ছেলেমেয়েদের খেলার জন্য পার্ক, সবজি চাষের বাগান, পুকুর। পুকুর ও ইড়িঞ্চি ক্যানেলে বোটিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আলাদা স্নানঘর এবং পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা আলাদা টয়লেট। গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা। দিঘায় যাওয়া পর্যটকদের পথের ক্লান্তি মেটাতে এই ইকো অ্যান্ড ন্যাচারাল হাব অবসারিকা গড়ে তোলা হয়েছে। এমনকি ফ্যামিলি নিয়ে এক দু রাত কাটাতে পারবে পর্যটকেরা। কটেজে রয়েছে ডুপ্লেক্স রুম। চাইলেই কেউ সহজেই ইড়িঞ্চি ক্যানেলের ধারে গড়ে ওঠা এই অবসারিকায় খোলা প্রকৃতির মাঝে অবসর সময় কাটাতে পারে। ডুপ্লেক্স রুমের ভাড়া আড়াই হাজার টাকা প্রতিদিন। লাঞ্চ ডিনার ব্রেকফাস্ট বাজার দরের ওপর নির্ধারিত।

পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তর অধীনে সিএডিসি তমলুকের উদ্যোগে গড়ে ওঠা এই ইকো অ্যান্ড ন্যাচারাল হাব দিঘায় যাওয়া পর্যটকদের ক্লান্তি মেটাতে আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সিএডিসি তমলুক প্রকল্পের ডাইরেক্টর উত্তম লাহা জানিয়েছেন, “ইকো অ্যান্ড ন্যাচারাল হাব অবসারিকায় মোট ২০ টি কটেজ তৈরীর চিন্তাভাবনা নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দুটি কটেজ নিয়েই চালু হল। ডুপ্লেক্স রুম সহ বিশাল আমবাগান, দোলনা পুকুর এবং ক্যানেলে বোটিং এর ব্যবস্থা দিঘায় পর্যটকদের পথ ক্লান্তি মেটাবে। এই ইকো অ্যান্ড ন্যাচারাল হাব পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে স্ব সহায়ক দলের মহিলারা। নিজেদের ফার্মের সবজি, মাছ ও মাংসের রান্নাকরা বিভিন্ন পদ পাওয়া যাবে। এছাড়া এই ইকো অ্যান্ড ন্যাচারাল হাবে পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য আলাদা আলাদা স্নানঘর ও টয়লেট রয়েছে।” বাংলা বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ ১৫ এপ্রিল শুক্রবার এই ইকো অ্যান্ড ন্যাচারাল হাব অবসারিকার উদ্বোধন হল।

Leave a Reply