নদীয়ার ফুলিয়ার উমাপুরে পাড়ার ছেলেদের সেজে ওঠা কাত্যায়নী পুজো ।  শ্রীকৃষ্ণের ৩০ টি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় নিয়ে এক মাস ধরে চলে নানা অনুষ্ঠান

Social

মলয় দে নদীয়া:- অনেক জায়গাতেই কিশোর,যুবকরা নেশার ঘোরে মত্ত, মোবাইল করে ফেলেছে তাদের বিপথগামী। কিন্তু নদীয়া জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম শান্তিপুর ব্লকের ফুলিয়ার উমাপুর কিন্তু অন্যরকম।আঠার বছর বয়সের নিচের ছেলেরা নিজেরাই রাধাকৃষ্ণ সেজে গ্রামের মানুষকে রাধা কৃষ্ণের বিভিন্ন লীলা পালা গানের মাধ্যমে মানুষের সামনে তুলে ধরে তাদের যেন পৌছে দেয় বৃন্দাবনে।

এসেই গেল দোল পূর্ণিমা। রাধা কৃষ্ণের নাম- গানে মেতে উঠেছেন হাজার হাজার বৈষ্ণব ভক্তরা।যদিও শান্তিপুরের কাছেই ফুলিয়ার উমাপুর গ্রামের মানুষেরা ফাল্গুন মাসের প্রথম রবিবার থেকে চৈত্র মাসের প্রথম রবিবার পর্যন্ত টানা এক মাস ধরে নিরামিষ খাবার খান। আদর আন্তরিকতা ও সম্মান প্রদর্শন গ্রামের মানুষের মনের মধ্যেই। হরে কৃষ্ণ রায় নামে ওই গ্রামের একজন বৃদ্ধ জানিয়েছেন,’ আমাদের গ্রামের ১৮ বছরের কম বয়সী ছেলেরা শুদ্ধ বস্ত্রে রাধাকৃষ্ণ, কংস,পুতুনা রাক্ষসী সহ বিভিন্ন রূপে সেজে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম থেকে রাসলীলা, পুতনা রাক্ষসী বধ, বকাসুর বধ সহ কংস বধ পর্যন্ত বিভিন্ন পালা গান করে থাকে।শেষে কুঞ্জ মেলায় রাধা কৃষ্ণের মিলনের মাধ্যমে মাসাধিক ব্যাপী উৎসবের শেষ হয়।’ গ্রামের অনেকেই জানিয়েছেন,কুঞ্জ মেলার দিন গ্রামের প্রায় প্রতি বাড়িতেই একাধিক মানুষের দুপুরের খাবার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।অবশ্য এই উৎসবের সূচনা বাংলাদেশের ঢাকা জেলা থেকে। পালাগানের কীর্তনীয়া অভিক রক্ষিত জানিয়েছেন,’ সুধারাম গোস্বামী নামে এক বৈষ্ণব ভক্ত বৃন্দাবন থেকে কৃষ্ণের স্বপ্নাদেশ প্রাপ্ত হয়ে ঢাকা জেলার বরাবর শ্রীধামে এই উৎসবের সূচনাা করেছিলেন। দেশভাগের পর সেখান থেকে কিছু মানুষ এই উমাপুর গ্রামে চলে আসেন।এরপর বাংলা ১৩৬৫ সালে এখানকার বাসিন্দা শশীমোহন বর্ধন ও কুঞ্জমোহন দাস এই গ্রামে এই উৎসবের সূচনা করেন। সেই থেকে এখনও চলে আসছে।’

একাধিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে উৎসবের সমাপ্তি ঘটে।

Leave a Reply