নদীয়ার শান্তিপুর রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে চৌষট্টি মহন্তের ভোগ

Social

মলয় দে নদীয়া:- প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে বৃন্দাবন দাম ছিলো ভগবান শ্রীকৃষ্ণের লীলা স্থল। কলি যুগে মানুষের দুর্দশা দেখে শ্রীকৃষ্ণ গৌড় রূপে অবতার হলেন নদীয়ায়, তার পারিষদ গণ জন্ম নিলেন বিভিন্ন স্থানে। ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর আহার,বিশ্রাম নেওয়ার জন্যঅন্তর্যামী শ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু বৃন্দাবনে এসে একটি স্থান নির্বাচন করেন। ভ্রাম্যমান পদব্রজে প্রচারে ভক্তরাও বিভিন্ন কারণে মহাপ্রভুকে সাক্ষাৎ পেতে উপস্থিত হতেন এই স্থানে। মহাপ্রভু সকলের শরণার্থী তাদের উদ্দেশ্যে একটি করে আসন ব্যবস্থা করেন ওই স্থানে। তিনি বলেন আগামীতে যে যেখানেই থাকো বর্তমান ৬৪ জন বৈষ্ণব ধর্ম প্রচারকের প্রত্যেকের আসন এবং মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা থাকবে এখানে! তখন থেকে আজ পর্যন্ত ওই স্থানের নাম চৌষট্টি মহন্ত। সুন্দরবনের অন্তর্গত খালিজুরি প্রদেশের জমিদার শ্রীধর এর পুত্র কমলা কর নবদ্বীপে এসেছিলেন ন্যায় শাস্ত্র পড়তে।ক্রমে তিনি শ্রীচৈতন্যদেবের অত্যন্ত প্রিয় পাত্র হয়ে ওঠেন। শ্রী চৈতন্যদেব কমলাকরের ওপর এই চৌষট্টি মহন্তের প্রথম দায়িত্বভার ন্যাস্ত করেন। বিশ্রাম,স্নান,নিদ্রা এবং বহু পুষ্টিকর রন্ধন সুস্বাদু খাদ্য খাবার খেয়ে তারা আবার ধর্ম প্রচারে বেরিয়ে পড়তেন দেশে দেশান্তরে। সে নিয়ম শুধুমাত্র বৃন্দাবনে সীমাবদ্ধ নেই, যেখানেই রাধা কৃষ্ণ ভজনা, শ্রীচৈতন্যদেব, অদ্বৈত আচার্য্যর পুজো অর্চনার ব্যবস্থা আছে সেখানেই এই চৌষট্টি মহন্তের ধারাবাহিকতা আজও অব্যাহত।

নদীয়ার শান্তিপুর সূত্রাগড় বিশ্বাস পাড়ার রাধামাধব মন্দিরে মাঘী পূর্ণিমা উপলক্ষে আয়োজিত মহোৎসবে এমনই দৃশ্য উঠে আসলো আমাদের ক্যামেরায়। মন্দিরের সভাপতি এবং প্রধান পুরোহিত ধ্রুব নারায়ন দেব গোস্বামী জানান, দু’বছর করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে এ বছরে ভক্তবৃন্দের ঢল নেমেছে। সারাদিন ধরে চলছে প্রসাদ বিতরণ। তবে জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রার আবির্ভাব বাড়তি মাত্রা এনে দিয়েছে।

Leave a Reply