দীপ রায় ,নদীয়া: শীতকালীন সময়ে অন্যতম ফল কুল। বর্তমানে নদিয়ার বিভিন্ন জায়গায় চাষ করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের কুল। শহরে প্রচুর পরিমান বিশেষ করে আপেল, চেরি ,সুন্দরী কুলের যোগান দেয় জেলার ধুবুলিয়া, শান্তিপুর, নবদ্বীপ, কৃষ্ণনগর সহ একাধিক ব্লকের কুল চাষিরা ।
জানা যায় বিভিন্ন প্রান্তের বেশীরভাগ কুলবাগানে কুল পাকার আগের মূহুর্তে কুলগুলি বাঁচানোর জন্য পুরো কুলবাগান ঘিরে ফেলা হয়। বাগান ঘেরার ক্ষেত্রে অনেক জায়গায়ই ব্যবহার করা হচ্ছে চায়না জাল। জালগুলো এমন সূক্ষ্ম যে চোখে পড়ে না। ফলে বাগানে উপর থেকে পাখি উড়ে এসে বসলেই জালে আটকে যায় এবং সময়মত কেউ না দেখলে মৃত্যু অনিবার্য।
দিনকয়েক আগে সরস্বতী পুজোর বিসর্জন দিয়ে ফেরার সময় ধুবুলিয়া শ্যামাপ্রসাদ শিক্ষায়তন এর শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীরা দেখে একটি ছোট বাজ পাখি জালে আটকে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে জাল কেটে সেই পাখিকে মুক্ত করে ছেড়ে দেন তাঁরা।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের শিক্ষক অভিজিৎ দাস জানান “বিষয়টি খুব স্পর্শকাতর। এভাবে পাখি মরলে পাখি নিঃশেষ হয়ে যাবে,প্রকৃতি তার স্বকীয়তা হারাবে। কুল বাগানে যদি জালের পরিবর্তে ঢ্যড়া পেটানো যায় তাহলে ভালো হয়। পাহারাদার রাখলেও কিছুটা সুবিধা হতে পারে”।
একজন কুলচাষী জানান “আসলে এত পয়সা খরচ করে বাগান করা হয়। বেশিরভাগ কুলই পাখি নষ্ট করে দেয়। তাই কুল বাঁচাতে বাধ্য হয়েই জাল দিতে হয়। তবে জালে পাখি আটকে গেলে ছাড়িয়ে দেওয়া হয়।
ধুবুলিয়ার কুলচাষী নারায়ণ দাস জানান ” আমার যে বাগান রয়েছে তাতে কোন জাল দেওয়া নেই। কুল বাঁচানোর জন্য পাখি মারা যাওয়া দেখতে পারবো না”।