মলয় দে নদীয়া :-ছেলের বিয়ে বলে কথা। রাজনৈতিক নেত্রী হওয়ার সুবাদে নতুন আত্মীয় কে দলে টানতেই হয়তো মমতা সরকারের সাফল্যকে তুলে ধরতে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পকে হাতিয়ার করলেন নবদ্বীপের তৃণমূল নেত্রী মণিকা চক্রবর্তী। ছেলেও তৃণমূলের যুব রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ২৭বছর ধরে রাজনীতি করছেন মণিকাদেবী। তিনি ছেলের বিয়ে ঠিক করেছেন কৃষ্ণনগরে। আগামী ২রা ফেব্রুয়ারি ছেলের বিয়ে। কনে অর্থাৎ হবু বৌমার বাড়িতে তত্ত্ব পাঠানোর জন্য ডালা সাজিয়েছেন, সেই সব ডালা সেজে উঠেছে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প। কোনটার নাম দিয়েছেন কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজ সাথী কোনটি বা লক্ষীর ভান্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, শিশুসাথী ইত্যাদি বেশ কিছু প্রকল্প। কন্যাশ্রীতে বিভিন্ন সাজগোজ,রূপশ্রী কনের সাজ সিঁদুর, আলতা, সবুজ সাথী প্রতীকী সাইকেল, লক্ষ্মীর ভান্ডারে সিঁদুর, লক্ষ্মীর মূর্তি, দলীয় প্রতীক, পাঁচ শো টাকার নোট, স্বাস্থ্যসাথীতে মাস্ক, ডেটল সাবান, স্যানিটাইজার, স্যাভলন ,তুলো ইত্যাদি। এইভাবে প্রতিটি প্রকল্পকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এইরকম সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প বিয়ের তত্ব সাজিয়ে ছেলের শ্বশুরবাড়িতে পাঠাতে উদ্যোগ নিয়েছেন নবদ্বীপ বড়ালঘাট পবিত্রময় সেনগুপ্ত রোডের বাসিন্দা ১০ নম্বর ওয়ার্ড কো- অডিনেটর তথা শহর তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী মণিকা চক্রবর্তী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি সঙ্গে যুক্ত। সংসার সামনে দিনের অধিকাংশ সময় মানুষের পাশে থেকে কাজ করার চেষ্টা করেন তিনি।
মণিকাদেবী বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। দল-মত নির্বিশেষে সমস্ত মানুষ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। মানুষের প্রতি যে ভালোবাসা এসব প্রকল্পে আমরা সত্যিই আপ্লুত। বিশেষ করে মেয়েদের জন্য উনি যেভাবে কন্যাশ্রী,রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার সমস্ত প্রকল্পের কথা।