মলয় দে নদীয়া :- নদীয়ার কৃষ্ণনগরে রেশন পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ । লকডাউনে নিম্নবিত্তদের রেশনেই ভরসা, জীবিত থাকতে ও একাধিক পরিবারের রেশন কার্ড বাতিল, পরিষেবা না পেয়ে চূড়ান্ত সমস্যায় তারা । করোনা পরিস্থিতিতে একাধিকবার লকডাউন এর কারণে কর্ম হারিয়েছেন অনেকেই। কাজারিয়া মূলত চরম আর্থিক সংকটে পড়েছে রাজ্যের মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত পরিবারের মানুষরা। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের একটু আশার আলো ছিল কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের দেওয়া রেশন ব্যবস্থা। মাসে রেশন সামগ্রী পেয়ে কোনরকমে দুবেলা খেয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন এ রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে রেশন তুলতে গিয়ে অনেকেই দেখছেন রেশন কার্ড বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়েছে খাদ্য। তারা জীবিত থাকতে কি কারণে তাদের রেশন কার্ড বাতিল হয়েছে তা বুঝে উঠতে পারছে না নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের একাধিক পরিবার রেশন ডিলার সূত্রের খবর এই সমস্যা শুধু জেলা ভিত্তিক নয় রাজ্যজুড়ে ও হচ্ছে বলে জানা যায়। এই অবস্থায় রেশন না পেয়ে চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। যদিও এ বিষয়ে খাদ্য দপ্তরের দাবি, দুটি কারণে রেশন কার্ড রিজেক্ট হতে পারে। প্রথম কারণ যদি দীর্ঘদিন কোনো পরিবারে রেশন ডিলারের কাছ থেকে খাদ্য সংগ্রহ না করেন আর দ্বিতীয় কারণ যদি রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক করা না থাকে। এই দুই কারণে রেশন কার্ড বাতিল হয়ে যেতে পারে। যদিও অনেক পরিবার দাবি করছেন তারা নিয়ম অনুযায়ী প্রতি মাসেই রেশন সংগ্রহ করে। এর পাশাপাশি তাদের সঠিকভাবে রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করানোর আছে। তাসত্ত্বেও কেন বাতিল হয়ে যাচ্ছে রেশন কার্ড তা নিয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি খাদ্য দপ্তর।
পাশাপাশি এক রেশন ডিলারের বক্তব্য মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করেছে এবার এই সমস্যা দেখা দিলে দুয়ারে রেশন প্রকল্প কিভাবে তারা চালাবেন সেই নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কারণ এর ফলে জনতার রোষ তাদের ওপর পড়তে পারে বলে দাবি । যদিও এ বিষয়ে নদীয়া জেলা পরিষদের জেলা সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু বলেন রেশন কার্ড বাতিল মানে সে মৃত এমনটা নয়। রেশন কার্ড বাতিল হয়ে গেলে তার কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। সে পুনরায় আবেদন করলে আবার তার রেশন কার্ড টি চালু করতে পারবে। রেশন ডিলাররা দুয়ারে রেশন নিয়ে গেলে তাদের সমস্যায় পড়তে হবে বলে মনে করছেন ।তবে সভাধিপতির বক্তব্য সমস্যা রেশন ডিলার দেরই মেটাতে হবে। তবে ফুড সাপ্লাই দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয় এই সমস্যা যত দ্রুত সম্ভব মিটিয়ে ফেলা হবে বলে জানান। উপস্থিত একজন উপভোক্তা আক্ষেপ করে বলেন দাদা লিংক করতে করতেই বুড়ো হয়ে যাবো।