মদন মাইতি, পূর্ব মেদিনীপুর: করোনা সংক্রমণের জেরে সরকারি এবং বেসরকারি বিদ্যালয়গুলো বন্ধ রয়েছে । ছোট ছোট ছেলেমেয়েরাও রয়েছে এই মুহূর্তে ঘরবন্দী। ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের মুখে একটু হাসি ফোটাতে এগিয়ে এলো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুরের লক্ষ্মী প্রিয়া ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি।
পটাশপুর দু’নম্বর ব্লকের খাড়ে চলছে ক্ষুদিরাম মেলা। মঙ্গলবার এই মেলাতে দুস্থ ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে শিক্ষা সামগ্রী বিতরন করা হলো। শুধুতাই নয় ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য ১০০ টি পরিবারের হাতে মশারি তুলে দিলো পটাশপুরের এই সংস্থা। কর্মসূচিতে সেচ ও জলপথ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, সমাজসেবী মানস রায়, পঁচেট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান দুর্গাপদ পাহাড়ি ও সংস্থার সম্পাদক রতন কুমার সাহু একত্রে উপস্থিত হয়ে ছাত্রছাত্রীদের হাতে শিক্ষা সামগ্রী তুলে দেয়। সংস্থার সম্পাদক রতন কুমার সাহু বলেন, “নতুন বছর সামনে রয়েছে তাই সবাইকে আগাম শুভ ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি সেই সঙ্গে আমাদের এই সোসাইটি এই মেলাতে উপস্থিত হতে পেরে এবং এই কর্মসূচি নিতে পেরে খুবই গর্বিত অনুভব করছি। আমরা নতুন বছরে চেষ্টা করব পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ানোর জন্য । আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌছানো জন্য। তাদের সেবা করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। ”
উল্লেখ্য, করোনা থেকে শুরু করে আম্ফান, ইয়াস ঝড়ের তান্ডব এবং কেলেঘাইর বাঁধ ভেঙে ভয়াবহ বন্যায় মানুষ যখন অসহায় তখন মা লক্ষী প্রিয়া ডেভেলপমেন্ট সোসাইটিকে মানুষের পাশে দেখা গিয়েছে। বন্যার সময় প্রতিদিন হাজার হাজার বন্যাদুগর্তদের ত্রান সামগ্রী বিতরণ করেছে। সংস্থার এহনে কর্মকাণ্ড এলাকার মানুষের প্রংশসা কুড়িয়েছে।