দেবু সিংহ,মালদা :মালদার গাজোল ব্লকের কিষান মান্ডিতে সহায়ক মূল্য ন্যায্য পরিমাণ ধান বিক্রি করতে না পেরে চরম অসন্তোষ ছড়িয়েছে চাষীদের মধ্যে। বিভিন্ন এলাকা থেকে আশা চাষীদের অভিযোগ, সরকার নির্ধারিত মূল্যে মাথাপিছু ৪৫ কুইন্টাল ধান বিক্রি করার নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় মাথাপিছু চাষীদের কাছ থেকে ২৫ কুইন্টাল করে ধার নেওয়া হচ্ছে। যদিও ১৯৪০ টাকা কুইন্টাল পিছু দরে এই ধান বিক্রি করতে পারলেও , পর্যাপ্ত ধান তাঁদের ঘরেই থেকে যাচ্ছে। যার ফলে উৎপাদিত ধান বিক্রি করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন গাজোল ব্লকের বিভিন্ন এলাকার চাষীরা । এনিয়ে শনিবার গাজোল কিষাণ মান্ডি এলাকায় চাষীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে । তারা সরকারি নির্দেশ মেনে ধান বিক্রি করতে পারেন সেই দাবিও প্রশাসনের কাছে জানিয়েছেন।
গাজলের বিডিও উষ্ণতা মুক্তান জানিয়েছেন, এব্যাপারে কিছু জানা নেই। বিষয়টি অবশ্যই খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যজুড়ে চাষীদের কাছ থেকে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনার কাজ শুরু করেছে খাদ্য দপ্তর। বিভিন্ন এলাকার কিষাণ মান্ডি গুলোতে চলছে ধান বেচাকেনার পালা। গাজোল ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে সরকারি নির্দেশ মতো পর্যাপ্ত ধান নিয়ে এসে তা সম্পূর্ণ বিক্রি করতে পারছেন না বলে চাষীদের অভিযোগ। আর এনিয়ে চাষিদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ ছড়াতে শুরু করেছে।
গাজোল ব্লকের মাঝরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ধানচষী মইনুদ্দিন শেখ , জাহাঙ্গীর শেখ , জগদিশ মণ্ডলদের বক্তব্য , আমরা মাথাপিছু ৪৫ কুইন্টাল করে ধান কিষান মান্ডিতে বিক্রি করার জন্য নিয়ে এসেছি। কিন্তু আমাদের কাছ থেকে ২৫ কুইন্টালের বেশি ধান কেনা হচ্ছে না। সরকারি ন্যায্যমূল্য পেলেও বাকি ধান বাড়িতেই মজুত করে রাখতে হচ্ছে। সেই ধান কোথায় কিভাবে বিক্রি করবো, তার জন্য খদ্দের মিলছে না । একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা ধান বিক্রির ক্ষেত্রে কালোবাজারি করছে। ফড়েদের দৌরাত্ম্য কিষান মান্ডিতে বাড়ছে। এরই প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানাবো। যাতে করে অবিলম্বে চাষীদের কাছ থেকে সরকারি নির্দেশ মেনে ধান সংগ্রহ করা হয়।
গাজোল ব্লক প্রশাসন অবশ্য চাষীদের এই অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।