কল্যাণীতে ছদ্মবেশে চুরি !  যাযাবর কিশোরী এবং তরুণী ধরা পড়লো সিসি ক্যামেরায়  

Social

মলয় দে, নদীয়া :-চারিদিকে চলছে কর্মহীনতার হাহাকার! পেটের খাবার জোগাড় করতে, বেছে নিচ্ছে অন্যায় পথ। যাযাবর বান্জারাদের প্রতি আমাদের সহানুভূতি থাকতে পারে, তবে অন্যায় পথ নিশ্চয়ই নয়!

নদীয়ার কল্যাণীর শিল্পাঞ্চল হোক বা মেইন স্টেশন যাযাবরদের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে!
বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে কল্যাণীর বিভিন্ন এলাকায় মাঝেমধ্যেই চুরি যাচ্ছে ল্যাপটপ, মানিব্যাগ, গৃহস্থলীর মূল্যবান জিনিসপত্র।

রবিবার সকাল আটটা নাগাদ কল্যাণী এ ব্লকে পুষ্পেন্দু বসুর দ্বিতল বাড়িতে, সকলেই ছিলেন উপরের তলায়, নীচের ঘরে ঘুমাচ্ছিলো তার দশ বছরের মেয়ে, দরজা বন্ধ ছিল তবে লক করা নয়। সিসি ক্যামেরা থাকার বিশ্বাসে প্রতিদিন এরকমই থাকে, পরিচায়িকা বা অন্যান্য প্রয়োজনে।
দশটা নাগাদ পুষ্পেন বাবু খেয়াল করেন, দুটি ব্যাগ যার মধ্যে রাখা এটিএম কার্ড, ৫০০০মতো টাকা, মোবাইল উধাও! এরপর সিসি ক্যামেরায় ফুটেজে তিনি দেখেন, একটি অল্পবয়স্কা কিশোরী পরিবারের কেউ মৃত্যু হওয়ার পর কাছাপরার ভঙ্গিমাতে সাহায্য চাইতে এসে, ওই ব্যাগ দুটি নিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা অপর এক তরুনীর হাতে দেয়, এরপর তারা চলে যায়।

পুষ্পেন বাবু সবিস্তারে কল্যাণী থানায় ঘটনাটি জানানোর ৫মিনিটের মধ্যে, প্রশাসন এসে খুঁজতে শুরু করে। অপরদিকে তিনিও বন্ধুদের নিয়ে মোটরবাইকে বের হন তাদের খুঁজতে ! কল্যাণী মেন স্টেশনের ফুটপাতে তাদের দেখা পাওয়ার পর, প্রথমে অস্বীকার করে , মোবাইল ফেরত দিতে বাধ্য হয়, এরপর একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে ব্যাগ দুটি ফেরত দেয় তারা, যদিও নগদ টাকা খরচ করেছে বলেই জানা গেছে তাদের কাছ থেকে।

পুষ্পেন বাবুর আশঙ্কা , চুরির সময় মেয়ের ঘুম ভাঙলে, প্রাণহানির আশঙ্কা ছিলো, কল্যাণীতে বহু বয়স্ক বৃদ্ধ-বৃদ্ধা একাকী বাস করেন বাড়িতে, প্রয়োজনে নিজেদেরও বাইরে বেরোতে হয়। এ ধরনের ঘটনা তাদের ক্ষেত্রে যথেষ্ট দুশ্চিন্তার! এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনকে সাধুবাদ জানালেও, আগামীতে কল্যাণী সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা তাদের বাড়তি নজরদারির দাবি করেন তিনি।

Leave a Reply