মলয় দে, নদীয়া :-নদীয়ার শান্তিপুরের বাবুলাল প্রামানিক পেশায় ইলেকট্রিক সাপ্লাই এর অস্থায়ী কর্মী। গ্রামে বসবাস করার কারণেএ সময় আম লিচু বিভিন্ন বাগানের সাথে নিবিড় যোগাযোগ তার। গতবছর আম্ফান ঝড়ের পরে একটি গাছ তলায় নিচে অসুস্থ অবস্থায় কুড়িয়ে পায় ছোট্ট একটি টিয়া। এরপর বাড়ি নিয়ে গিয়ে সেবা শুশ্রুষা করে সুস্থ করতে তোলার মাধ্যমে নিবিড় বন্ধুত্ব তৈরি হয় বাবুলাল এবং তার পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে। মাছ ডাল ভাত সবই খায় সে, সংসারে দুই কন্যা সন্তানের মধ্যে টিয়া পাখির গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি, তাই নাম রানী দিয়েছে মেয়েরা।
সন্তানদের কোথাও বেড়াতে নিয়ে গেলে, নিয়ে যেতে হবে তাকেও, এমন কি কোন অনুষ্ঠান বাড়ি বা বিয়ে বাড়ি পর্যন্ত। দুবার উড়ে অন্যত্র চলে যাবার পরও সংসারের মায়া ত্যাগ করতে পারেনি ফিরে এসেছে আবার! তার পিছনে অবশ্য অতীতের কুকুরের আক্রমণ অন্যতম কারণ! রানী জানে প্রভুর ছত্রছায়া ছাড়লেই সমূহবিপদ।
আজ বলে নয়, মাঝেমাঝেই রানীকে নিয়ে বাগানে বেড়াতে যেতে হয়, মনোরঞ্জন এবং প্রাকৃতিক ভাবে খাবার জোগাড়ের পুরনো অভ্যাসের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য। তবে বাবুলাল বাবুর বাড়িতে একটি মোরগও এভাবেই তার বশ মেনেছে! আগামীতে গাংশালিক প্রসার ইচ্ছা আছে তার। তিনি জানেন এটা আইনত অপরাধ তবুও, পাখিরা যদি স্বাচ্ছন্দে থাকতে ভালোবাসে তার কাছে, তাহলে ক্ষতি কোথায়!