অদ্বিতীয় কৌতুক শিল্পী অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু দিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য 

Social

মলয় দে, নদীয়া :- মৃত্যুর পরও হাসাতে পারেন, এমন মানুষ খুব কম আছেন । আজ অদ্বিতীয় প্রবাদপ্রতিম শিল্পী ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু দিবস।

একদা সিনেমা জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ নামগুলি সকলের মনে গেঁথে থাকলেও অনেকটাই তার কণ্ঠস্বর এবং অভিনয়ের গুনে মানুষের মন জয় করে নিয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালে জাগরণ , অভিযোগ নামক সিনেমায় আত্মপ্রকাশ তারপর সর্বহারা বরযাত্রী পলাতক সাড়ে ৭৪, কপালকুণ্ডলা, ছেলে কার, ভাঙা-গড়া, সাহেব বিবি গোলাম, পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ,পথে হল দেরি,বাঘিনী, স্ত্রী, স্বর্গ মর্ত্য পাতাল, রামের সুমতি, বাঘিনী, যমালয়ে জীবন্ত মানুষ, আশিতে আসিও না, কপালকুণ্ডলা ,ছেলেকার, রামের সুমতি এরকমই প্রায় ৩০০ রও বেশি বাংলা সিনেমায় তার অভিনয় চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে যুগ যুগান্তর। এক গাঁও কি কাহানি এবং বন্দিশ দুটি হিন্দি সিনেমায় ও যথেষ্ট সাড়া ফেলেছিলেন তিনি।সাড়ে চুয়াত্তর সিনেমার একটি জনপ্রিয় সংলাপ ” মাসিমা মালপো খামু ” আজও এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মুখে মুখে অমর হয়ে রয়েছেন তিনি। ১৯২০ সালে জন্ম গ্রহণের পর থেকে ১৯৮৩ সালের মৃত্যু পর্যন্ত ৬২ বছর সময়ের জীবিত কালের গৌরবোজ্জ্বল শিল্পকর্ম সেযুগে গ্রামোফোন রেকর্ড, বেতার, টেপ রেকর্ডার, থেকে শুরু হয়ে পরবর্তীকালে ডিভিডি সিডি, রঙিন টিভি বর্তমানে এন্ড্রয়েড মোবাইল ইন্টারনেটে আজও অনবদ্য।

চড়া কণ্ঠস্বর এবং বাঙাল ভাষায় দক্ষতার কারণেই হয়তো অন্যান্য মিমিক্রি আর্টিস্টদের মত খুব একটা কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠস্বরের জাদু বহনকারী হিসেবে! তবে নদীয়া শান্তিপুরের বাচিক শিল্পী ভক্ত অনুপম সরকার বিগত ১৫ বছর যাবত এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলেছেন সুনামের সাথে। আজ তার শ্রদ্ধেয় গুরুদেব ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন শিল্পী ।

Leave a Reply