মলয় দে, নদীয়া : অবশেষে এলো বিদ্যালয়ে পুনরায় পঠন পাঠন চালু হবার গ্রীন সিগন্যাল ! গত ২০২০ সালের ২১শে মার্চ স্বার্থপর অদৃশ্য করোনাদৈত্যর কারণে দীর্ঘ ১১ মাস পরে ১২ই ফেব্রুয়ারি খুলতে চলেছে স্কুল — এমনটাই বৃহস্পতিবার রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে । তবে জারি করা হয়েছে এক গুচ্ছ নিয়মাবলী ।
যে বিষয়গুলির উপরে নজর দেওয়া হবে হবে বলে জানা যায়:-
প্রথমত , নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পঠন পাঠন প্রক্রিয়া চালু হতে চলেছে ।
দ্বিতীয়ত, দুই বা ততোধিক বিভাগে বিভাজিত হয়ে ক্লাস করাতে হবে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের ।
তৃতীয়ত , শিক্ষক শিক্ষিকা মন্ডলী থেকে শুরু করে ছাত্রছাত্রী এমনকি প্রতিটি নন টিচিং স্টাফদের ব্যাবহার করতে হবে মাস্ক।
চতুর্থত , ছাত্রছাত্রীদের প্রাকটিক্যাল ও থিওরি টিকাল — উভয় ক্লাসই বলবৎ থাকছে ।
পঞ্চমত, সমস্ত স্কুল পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিচ্ছন্নকরন করতে হবে ।
ষষ্ঠত, প্রত্যেক পড়ুয়াকে মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব । সেই কারণেই স্টুডেন্টরা বিদ্যালয়ে যাতায়াতের সময় ব্যবহার করতে হবে ছাতা যা পারস্পরিক দূরত্বকে মান্যতা দেবে ।
সপ্তমত, স্কুলে একে অন্যের জল বা টিফিন খাওয়া যাবে না ।
অষ্টমত , বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে খেলা বন্ধ । থাকছে সামাজিক স্লোগান লেখার প্রতিযোগিতা ও কুইজ কনটেস্ট ।
নবমত, স্টুডেন্টদের মধ্যে পঠন পাঠন সংক্রান্ত সামগ্রী ভাগাভাগি করার ওপর কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে ।
দশমত , বিদ্যালয়ে রাখতে হবে আইসেলেশন বিভাগ । তাছাড়াও কোনো স্টুডেন্টদের সর্দি , কাশি , জ্বর হলে তার স্কুলে না আসার জন্য নির্দেশিকা রয়েছে ।
একাদশতম, বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোনো ক্লাস যেন শিক্ষক বা শিক্ষিকাহীন না থাকে তার জন্যও বিশেষ নজরদারি থাকছে ।
দ্বাদশতম , স্কুল খোলার আগে স্কুলের পরিচালন সমিতি, প্রধান শিক্ষকের সাথে জেলাশাসক ও প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ মিটিং আবশ্যিক এবং জেলাশাসকের পক্ষ থেকে স্কুল খোলার যাবতীয় নিয়মাবলী সম্পর্কে স্কুলকে অবগত করা হবে ।
ত্রয়োদশ তম, একাধিক পড়ুয়াকে মনিটর করা হতে পারে শ্রেণীকক্ষে ।
চতুর্দশ তম , স্টুডেন্টদের একাধিক ইউনিফর্ম ব্যবহার করার ও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ।
পঞ্চদশতম, স্কুলে ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে হ্যান্ড সেক , আলিঙ্গন এর বিরুদ্ধে জারি রয়েছে বিধি নিষেধ ।
এছাড়াও স্কুল শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশিকা রয়েছে ডি আই এবং এস আই নিয়মিত স্কুল পরিদর্শন করবেন এবং স্কুলে বসাতে হবে মেডিক্যাল ক্যাম্পও। এছাড়া আরো বলা আছে বিদ্যালয়ে প্রবেশ ও প্রস্থানের সময় স্টুডেন্টদের ভিড় এড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাচল করতে হবে । বিশেষ প্রয়োজনে অভিভাবকরা পরামর্শ করতে পারবেন কোনো সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের সাথে ।