মলয় দে, নদীয়া:- প্রতিবছর প্রায় শেষ অর্থাৎ জানুয়ারি মাস থেকে ঝুড়ি বুনতে শুরু করেন এই কুটির শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীরা। সারাবছর কৃষকের টোকা, মাছ ধরার পোলো, বৃত্তি, মাটি বইবার ঝোড়া, সবজি নিয়ে যাবার ঝাকা ঝুড়ি, গৃহস্থলীর ব্যবহারের চুবড়ি, পেতে , মুরগির খাঁচা, বিভিন্ন খাদ্যশস্য পরিষ্কার করার জন্য কুলো সারাবছর কমবেশি বিক্রি হলেও, মূলত আম চাষ এর সাথে ঝাঁকা বা ঝুড়ির বিক্রি থোক টাকা দেখতে পান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
নদীয়া জেলার শান্তিপুর সহ একাধিক এলাকার শিল্পীরা তাই বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা এমনকি ব্যক্তিগত ভাবে ঋণ নিয়ে আগেভাগেই তৈরি করতে থাকেন ঝাঁকাঝুড়ি। কিন্তু গত বছর সবে মাত্র আম গাছের মুকুল বা বোল থেকে থেকে গুটি তৈরি হয়েছিলো! স্বার্থপর দৈত্য করোনার থাবা গ্রাস করেছিলো বিভিন্ন আম চাষীর বাগানেও! আন্তঃ এবং বহিরাজ্যে আম রপ্তানি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। তাই ঝাঁকা ঝুড়ির প্রয়োজন বোধ করেননি অনেকেই। ধাক্কা খেয়েছে এই শিল্প! ষাট সত্তর টাকা খরচ করে, আশি টাকায় বিক্রি ঝুড়ি, জোর করে চল্লিশ,পঞ্চাশ টাকায় গচাতে হয়েছিলো মূলধন শেষ হয়ে যাওয়ার ভয়ে। এবছর তাই আগাম কাজ করার জন্য, বাঁশ কেনা বা শ্রমিক লাগিয়ে প্রচুর ঝাঁকাঝুড়ি মজুদ রাখায় আস্থা নেই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের। তবে তারা আশায় বুক বেঁধেছেন, দৈনন্দিন তৈরি ঢাকা ঝুড়ি বিক্রি হয়ে যাবে চাহিদার সাথে। চলতি মাসের শেষের দিকে, আমগাছে ওষুধ দেওয়া এবং গাছ ধোয়ানোর পর ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই বাগানীদের আনাগোনা শুরু হবে ঝাকা ঝুড়ির খোঁজে।