মলয় দে,নদীয়া : “অন্যের হারিয়ে যাওয়া কোনো কিছুই নিতে নেই!” পুঁথিগত শিক্ষার আগে পরিবার থেকে এমনটাই শিখি আমরা প্রত্যেকে। হারানো প্রাপ্তি ফেরত দেওয়ার ইচ্ছা থাকবে এটাই তো স্বাভাবিক! তার জন্য সংবাদ মাধ্যমের প্রয়োজন ছিল না! কিন্তু আমার ট্রেকার স্ট্যান্ডের দুজন চালক আজ দুবছর হলো নিয়মিত কোর্টে হাজিরা দেয়, যাত্রীদের হারানো ব্যাগের চুরির অপবাদে। এমনটাই জানালেন নদীয়া শান্তিপুর স্টেশন সংলগ্ন ট্রেকার স্ট্যান্ডের স্ট্রাটার বিশ্বজিৎ প্রামানিক।
গতকাল শান্তিপুর ব্লকের গয়েশপুর অঞ্চলের বিএ দ্বিতীয় বর্ষে পাঠরতা সীমা ঘোষ তার এক বান্ধবীকে নিয়ে শান্তিপুর ডাকঘর থেকে শান্তিপুরেরই হরিপুর স্ট্রীটের মিলন মল্লিকের ট্রেকারে ওঠেন বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে। জোকারের যাত্রাপথ গয়েশপুর সংলগ্ন হিজুলিমোড়ে নেমে অন্য একটি টোটো করে বাড়ি ফেরেন তিনি। বাড়িতে গিয়ে খেয়াল হয় তার হাতের টাকারব্যাগ নেই যার মধ্যে আনুমানিক তিন থেকে চার হাজার টাকা এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফোন নাম্বার ছিলো। ঘটনাটি পাড়ার ওই টোটো চালককে জানালে, সে টেকার স্ট্যান্ড ফোন করে জানায়। অন্যদিকে ততক্ষণে মিলন বাবু ট্রেকার স্ট্যান্ডে হাত ব্যাগটি জমা দিয়েদেন।
আজ সকাল দশটা নাগাদ সকলের সামনে ব্যাগটি উপযুক্ত অধিকারীর হাতে তুলে দিয়ে মিলন বাবু জানান দীর্ঘ লকডাউনে বন্ধ ছিল ট্রেকার অন্যের কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতা চেয়েও নিয়েছি প্রয়োজনে কিন্তু এ টাকা নেওয়ার শিক্ষা পায়নি পরিবার থেকে। ব্যাগটা খুলে একবার শুধু দেখেছিলাম ফোন নাম্বার খোঁজার জন্য! অন্যদিকে ছাত্রী সীমা ঘোষ জানান ড্রাইভার কাকুকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই! তবে ওনাদের মতন কাউকে অপবাদ না দেওয়ার জন্যই সকলের কাছে অনুরোধ করছি।