মলয় দে নদীয়া :-দীর্ঘ লকডাউনে খোঁজ নেয়নি কেউ!কাঁচা মাটির মতই কোমল হৃদয় অভিমানে পোড়ামাটির মত হয়ে উঠেছে শক্ত! পরিবার নিয়ে তাই রাজপথে।
সর্বভারতীয় অনুন্নত কুম্ভকার সমিতির প্রায় ৪০০জন সদস্য । এর আগে বিভিন্ন বিধায়ক, পৌর প্রশাসক বিডিও, সাংসদ প্রত্যেকের দুয়ারে দুয়ারে ঘূরেছে সমস্যা সমাধানের আশায়। । পয়লা বৈশাখের সিদ্ধিদাতা গণেশ থেকে শুরু একের পর এক বন্ধ হয়েছে সমস্ত পূজা পার্বণ। ঠাকুরের অর্ডারতো পড়েইনি বরং এই সংক্রান্ত বিভিন্ন মেলা বন্ধ হওয়ায় মাটির পুতুল, ঘর সাজানো কিছু উপকরণও বিক্রি সম্পূর্ণ বন্ধ। অন্যদিকে গন পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ হওয়ায় চায়ের খুরি, মিষ্টির হাঁড়ি, মাটির প্রদীপ সমস্ত কিছু বিক্রি না হওয়ায় তৈরি জিনিস আটকে রয়েছে মৃৎশিল্পীর ঘরে। কেন্দ্র এবং রাজ্য দুই সরকারেরই জনপ্রতিনিধিদের অনুনয়-বিনয় অনেক হয়েছে! আর নয় , তাই পেটের জ্বালায় হারিয়েছি ন্যায় অন্যায়ের বিচার ক্ষমতা। ক্লাব বারোয়ারি পেয়েছে টাকা! পূজারী পেয়েছে ভাতা! কিন্তু যে পুজো আমাদের তৈরি ঠাকুরেই , সেই আমরা ব্রাত্য কেনো? এমনই নানা অভিমানে নদীয়া জেলার ফুলিয়া বাসষ্ট্যান্ড লগ্ন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে দীর্ঘ এক ঘন্টা সভা করে পথচলতি সাধারণ মানুষের কাছে জনমত গড়ে তুলে বিচার চান “জনতার দরবারে “।তাদের শিল্পীসত্তার অবমাননার অভিমানে তাদের তৈরি বিভিন্ন মাটির উপকরণ ভেঙে নষ্ট করে শিল্পী সত্তার বিসর্জন দেন তারা। কোন ব্যবস্থা না হলে আগামীতে কর্ম বিরতি পথে এগোচ্ছেন তারা এমনটাই জানা যায় বিক্ষোভকারী শিল্পীদের কাছ থেকে।