রায়গঞ্জঃ বাবা মারা গিয়েছেন দু-বছর, প্রচন্ড আর্থিক কষ্টের মধ্যে অভাব পিছু না ছাড়লেও পড়াশুনোটা মন দিয়ে চালিয়ে গিয়েছে, চাকুলিয়ার এস বি টোলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র শুভঙ্কর মন্ডল। শুভঙ্কর এবারের উচ্চমাধ্যমিকে ৪৬৫ নম্বর পেয়েছে। তাঁর দাদা দু-বেলা টিউশন পড়িয়ে ভাইয়ের পড়াশুনোর খরচ চালিয়ে গিয়েছেন। তবে শুভঙ্করের অদম্য প্রচেষ্টার ফলেই এত ভালো ফলাফল হয়েছে তার উচ্চমাধ্যমিকে। তার বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা সকলেই তাঁর এই সাফল্যে ভীষন খুশি। একই বিদ্যালয়ের অন্য এক উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী প্রতাপ বৈদ্য। যার উচ্চমাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বর ৪০০। মা মারা গিয়েছেন, বাবা বাইরে থাকেন। দাদার সাথে কাঠ মিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করে, সারাদিন হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রমের বাড়ি ফিরে এসেও রান্না করতে হয় প্রতাও বৈদ্যকে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রতাপের এই সাফল্যে তারা অত্যন্ত খুশি। আগামীতে প্রতাপ বাংলা বিষয় নিয়ে পড়াশুনো করতে চায়। তাঁর লক্ষ্য শিক্ষকতা করা। তবে দরিদ্রতায় এখন সব থেকে বড় সমস্যার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে।