লকডাউন কে উপেক্ষা করে জন ধন যোজনা টাকা তুলতে ভিড়, উত্তেজনা মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর এ

Social

দেবু সিংহ,মালদা : লকডাউন কে উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনা একাউন্টে পাওয়া ৫০০ টাকা করে তুলতে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার বারদুয়ারী বঙ্গীয় গ্রামীন বিকাশ ব্যাঙ্ক ভিড় জমালো হরিশ্চন্দ্রপুর দু’নম্বর ব্লক এলাকার প্রচুর গ্রাহক।

ব্যাংকের সামনে একটি গ্রাহকসেবা কেন্দ্রে এই জমায়েতকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। একদিকে লকডাউন অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক এই দুয়ের মাঝখানে ভিড় বাড়তে থাকলে ওই ব্যাংকের সিএসপি কর্মী বাবলু মন্ডল গ্রাহকদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে।

গ্রাহকদের বিক্ষোভ বাড়তে থাকলে সিএসপি কর্মী সেবা কেন্দ্র বন্ধ করে বাড়ি চলে যান। হঠাৎ করে সেবা কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গ্রাহকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।তারা পার্শ্ববর্তী গ্রামীণ ব্যাংকে এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এ বিক্ষোভের জেরে ব্যাংকের কাজকর্ম স্থগিত হয়ে যায়।

লকডাউন এর জেরে এলাকায় এত মানুষের সমাগম হয় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। তড়িঘড়ি করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় খবর দিলে। হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকদের শান্ত করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়। গ্রাহকদের সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স মেনে চলতে অনুরোধ করা হয়।

এ প্রসঙ্গে ওই সিএসপি কর্মী বাবলু মন্ডল জানান এলাকার অনেক গ্রাহকের একাউন্টে প্রধানমন্ত্রীর জনধন যোজনায় ৫০০ টাকা করে এসেছে এই টাকা তুলতে হঠাৎ করে প্রচুর গ্রাহকের সকাল থেকে ভিড় হয়। অনেকবার ওই সমস্ত গ্রাহকদের বলেছি সবাই টাকা পাবে কিন্তু একদিনে এতজন গ্রাহক ভীর না করে অল্প অল্প করে এসে টাকা তুলতে। এবং দূরত্ব বজায় রাখে দাঁড়াতে। কিন্তু তারা কোন কথা না শুনে গ্রাহকসেবা কেন্দ্রে র টেবিল ঠেলাঠেলি করতে শুরু করে। তার কাছে ব্যাংকের কিছু টাকাও ছিল। তাই এই গ্রাহকদের উত্তেজনা দেখে এবং টাকা নিরাপত্তার জন্য তিনি সিএসপি কেন্দ্র বন্ধ করে দেন।

এ প্রসঙ্গে ওই ব্যাংকের গ্রাহক মুকুন্দপুর এর সুকদি রিসি টিটিয়া গ্রামের মঞ্জুরা খাতুন জানান তারা আজ ব্যাংকে জনধন যোজনা পাওয়া ৫০০ টাকা তুলতে এসেছিলেন। কিন্তু ব্যাংকের পাশে গ্রাহকসেবা কেন্দ্রে প্রচুর ভিড় হওয়ায় বই জমা কে কেন্দ্র করে গন্ডগোল ছড়ায়। এই গণ্ডগোলের জেরে কয়েকজনের পাস বই ও ছেরে যায়। গ্রাহকসেবা কেন্দ্রে কর্মীও হঠাৎ করে ব্যাংক লাগিয়ে চলে যান। আমরা টাকা না পেয়ে তাই ব্যাংকে বিক্ষোভ দেখিয়েছি।

এ প্রসঙ্গে গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজার সুবীর মুখার্জি জানালেন লকডাউন কে অমান্য করে এভাবে টাকা তুলতে বের করা ঠিক নয়। আগামীকাল থেকে আমরা পুলিশ দিয়ে টাকা তোলার ব্যবস্থা করব। এবং সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স বজায় রাখারও নির্দেশ দেওয়া হবে।

হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশ সূত্রে জানা যায় এদিন বিক্ষোভের খবর পেয়ে তারা এলাকায় এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এবং গ্রাহকদের অনুরোধ করা হয় যাতে লকডাউন কে অমান্য না করে শান্তভাবে টাকা তোলার চেষ্টা চালায়।

Leave a Reply