মলয় দে নদীয়া:-নদীয়া জেলার শান্তিপুর ব্লকের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের শহিদুল শেখ, পেশায় মাইকের ব্যবসায়ী। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়েও স্ত্রী তনুজা বিবি, একমাত্র কন্যা তুহিনা ও এক পুত্র নিয়ে দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে জীবন যাপন করতেন।
গত ২৪শে মার্চ ২০১৭ শুক্রবার সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ পাশের বাড়ি খেলতে যাওয়া কন্যা আর ফেরেনি। মিসিং ডায়েরি, ওসি, এসডিও, এসপি, এমনকি মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত পৌঁছালেও মেলেনি সুরাহা। ২০১৭ সালের সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তর প্রদেশের একজন ব্যক্তির প্রোফাইল থেকে পোস্ট করা একটি মেয়ের ছবি, বেশ খানিকটা মিল থাকায়, কিছুটা আশার আলো দেখে সন্তান হারানো পরিবার। নিজেরা কোন রকম ভাবে যোগাযোগ করতে না পেরে, দ্বারস্থ হয় প্রশাসনের কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় হতাশ পরিবার।
মা তনুজা বিবি জানান “এ কোন সমাজে আমরা বাস করি? ভরসন্ধ্যায়, পাড়ার মধ্যে থেকেই নিরুদ্দেশ হয়ে গেল মেয়ে?”
শোকার্ত প্রতিবন্ধী পিতা “শহিদুল শেখ জানান “সন্ধ্যে সাতটায় হারানো মেয়ের মিসিং ডায়েরি করি সেদিন রাতেই, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করেও পৌঁছেছি বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে। দু বছরে অন্তত চারজন ওসি বদল হলেও এখনো মেলেনি সুরাহা”