মলয় দে নদীয়া:- অতীতের কালো বিভীষিকাময় স্মৃতি আবারো উসকে ওঠে নদীয়ার শান্তিপুর বাগআচড়া ছাড়ি গঙ্গার মাঝে ঘন কচুরিপানার জঙ্গল দেখে।
বর্ষা আসন্ন তার আগে খটখটে শুকনো রোদে কচুরিপানা বিষ প্রয়োগ করে তুলে শুকানোর উপযোগী সময় মনে করছেন স্থানীয়রা কিন্তু বিপদ যখন আসন্ন কিংবা একটি বিপদ ঘটে যাওয়ার পরেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে তারা চাইছেন স্থায়ী ব্যবস্থা, অর্থাৎ কাঠের ব্রিজ। ওপারে চরপানপারা কলডাঙ্গা সহ নানান গ্রাম এপারে বেলের মাঠ।
ওপারে বাস করে প্রায় হাজার পরিবার। ছাড়ি গঙ্গায় জল থাকে সারা বছর, স্থানীয় তিন মাঝি সারাদিন ধরে পারাপার করে থাকেন স্কুল ছাত্র ছাত্রী থেকে শুরু করে অসুস্থ রোগী নিত্য নৈমিত্তিক ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অন্যান্য কাজকর্মে এপারে আসা মানুষজনের আবার অন্যদিকে এপার থেকে ওপারে চর হওয়ার কারণে চাষাবাদে যান প্রচুর স্থানীয় মানুষজন। সকলেই চলাচল করেন প্রাণ হাতে করে, কারণ গত বেশ কয়েক বছর ধরে প্রায়শই জলপথের মাঝখানে নৌকা আটকে যায় কচুরিপানার জঙ্গলে। তবে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল গত বছর যেখানে জেলা এবং রাজ্য এমনকি কেন্দ্রীয় তরফেয় প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা বেশ কয়েকজন স্কুল ছাত্র ছাত্রীকে উদ্ধার করেছিলেন প্রায় ১২ ঘণ্টা অক্লান্ত পরিশ্রমের পর।
তবে এরপর স্থানীয় বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামীর তত্ত্বাবধানে কচুরিপানা পরিষ্কার হয়েছিল এ বছরও হয়তো হবে কিন্তু সাধারণ মানুষের দাবি পাকাপাকি স্থায়ী ব্রিজ সেক্ষেত্রে লোহার কিংবা সিমেন্টের হয়তো অনেক খরচ হতে পারে তাই কাঠের হলেও সমস্যার কিছুটা সমাধান হয় যদিও এ বিষয়ে স্থানীয় বিজেপির দাবি রাজ্য সরকার সচেষ্ট হলেই তা সম্ভব হয় ।
অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সাংসদ জগন্নাথ সরকার এবং এই পঞ্চায়েত বিজেপি পরিচালিত। তাই কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন সরকারের প্রচেষ্টা থাকলে মানুষের পরিত্রাণ মিলতো কিন্তু সমস্যায় তাদের পাশে পাওয়া যায় না। যথেষ্ট ব্যয় সাপেক্ষ ব্রিজ কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগ ছাড়া সম্ভব নয়।
তবে স্থায়ী সমাধান নিয়ে রাজনৈতিক চাপানোতরে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। তারা চাইছেন এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি।