মলয় দে নদীয়া :-রাজ্যভিত্তিক ঘরনার নৃত্য ভারতীয় কৃষ্টি ঐতিহ্য যা সারা বিশ্বের সমাদৃত । বহু প্রাচীনকালেও নৃত্যের নিদর্শন আজও প্রমাণ পাওয়া যায় বিভিন্ন গুহাচিত্রে। ছন্দ লয় তালের সাথে আঙুল চোখ কিংবা দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালনের মধ্য দিয়ে প্রকৃতি কিংবা সমাজের সকল বিষয় উপস্থাপিত করা যায়। কিন্তু সেই শারীরিক ভাষা ক্রমশই হয়ে উঠছে অশ্লীল। যা পরিচিত চটুল নাচ হিসাবে । বিকৃত অঙ্গভঙ্গি যা কালিমালিপ্ত করছে অতীতের গৌরবান্বিত নৃত্যের ইতিহাসকে। এই অপরাধের কোন আইন না থাকার কারণে সামাজিক ব্যাধি বলে বলে থাকেন তবে তার নিরাময় কিভাবে হবে সে বিষয়ে উত্তর জানা নেই কারো। উত্তর একটাই সচেতনতা এবং রুচির পরিবর্তন। তবে রুজি রুটির টানে এখন নৃত্যশিল্পীরা এখন কমার্শিয়াল ডান্সার এ পরিণত হয়েছেন, বিবাহ হোক বা জন্মদিন কিংবা যেকোনো পার্টি উৎসব অথবা পুজো সবেতেই ডাক পড়ে ডান্সারদের। কিন্তু নিজেরা সঙ্ঘবদ্ধ না হওয়ার কারণে নানান ঝামেলা ঝঞ্জাট কিংবা অন্য ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়েন তারা।
নাচের বিভিন্ন স্কুল কিংবা সংস্থা থাকলেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের অসংগঠিত কমার্শিয়াল ড্যান্সাররা এই প্রথম নদীয়ার কৃষ্ণনগর নবদ্বীপ রোডে বিষ্ণুপুর এলাকাতে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডান্স ইউনিয়ন নামে এক কমিটির গঠিত হয় রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ৩২ জন সদস্যদের নিয়ে যদিও প্রতিনিধি এসেছিলেন প্রায় শতাধিক এর মধ্যে মহিলাদের উপস্থিতিও ছিল যথেষ্ট। সারাদিন সংগঠনের রেজিস্ট্রেশন বিভিন্ন সামাজিক দায়িত্ব পূরণের পরিকল্পনা, whatsapp গ্রুপ গঠন, প্রশাসনিক স্তরে বিভিন্ন সমস্যার দাবি জানানো এ ধরনের নানান আলোচনা হয় যার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অশ্লীল নৃত্য বর্জন। অর্থাৎ সংগঠনের সদস্যরা কখনোই এ ধরনের নৃত্য পরিবেশন করতে পারবে না এই অঙ্গীকার করে কোথাও এ ধরনের অশ্লীলতা দেখলে তা সমবেতভাবে প্রতিবাদ জানানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এদিন আলোচনা সেরে সকলে হাতে হাত লাগিয়ে বনভোজন করে ফিরেছেন বাড়ি।