মলয় দে, নদীয়া : নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে পালিত হলো কবি ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ১৬২ তম জন্মদিন। বাংলা ১২৭০ সালের ৪ঠা শ্রাবণ জন্মগ্রহণ করেন কৃষ্ণনগরের এই সুযোগ্য সন্তান ।
কৃষ্ণনগরের স্টেশন অ্যাপ্রোচ রোডে রয়েছে কবির জন্মভিঁটে। সেখানে এখনও রয়েছে দুটি তোরণ। বর্তমানে জায়গাটি রেলের অধীন।
৪ঠা শ্রাবণে কৃষ্ণনগরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কৃষ্ণনগর ঐকতান সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা সদস্যরা সকাল থেকে উৎসবে মেতে ওঠে।
কবির জন্ম ভিঁটেয় ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা রঙিন কাগজ,ফুলের মালা দিয়ে সাজিয়ে তোলে।
কৃষ্ণনগর ঐকতান এর সদস্যরা সেখানে মাল্যদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার পর কৃষ্ণনগর রেলওয়ে স্টেশনে কবির প্রতিকৃতিতে, শহরের বিভিন্ন জায়গা সদরের মোড়ে, এভি স্কুলের মোড়ে এই মহান মনীষীর মূর্তিতে মাল্যদান করেন। এছাড়াও কৃষ্ণনগর ঐকতান এর অবৈতনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দ্বিজেন্দ্রলাল রায় এর মূর্তিতে মাল্যদান করা হয়।
কৃষ্ণনগর ঐকতান এর সভাপতি অরিন্দম দেব জানান কবির জন্ম ভিঁটেয় শুধুমাত্র দুটি তোরণ রয়েছে। ২০২০ সাল থেকে আমরা ওখানে বিভিন্ন রকম কর্মসূচি গ্রহণ করে চলেছি। একসময় ভগ্নপ্রায় প্রাচীর ছিল তা নিজেরাই ইঁট বালি সিমেন্ট দিয়ে সারাই করেছি। মাঝে মধ্যে এলাকাটি ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের নিয়ে নিজেরাই আমরা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে থাকি। আমাদের সংগঠন কৃষ্ণনগর ঐকতান এর পক্ষ থেকে রেলের কাছে চিঠি দিয়ে জায়গাটি সংস্কার করার আবেদন জানানো হয়েছে। রেলের সহযোগীতায় জায়গাটি সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে। ছাউনি ও প্রাচীরের কাজ চলছে। খুব ভালো লাগছে।
অরিন্দম দেব আক্ষেপ করে বলেন কয়েকদিন আগেও জন্ম ভিটায় ঢোকার রাস্তায় প্রচুর পরিমাণে নোংরা ছিল তা আমরা পরিষ্কার করে দিলাম। এই বিষয়ে সমস্ত কৃষ্ণ নাগরিক কে এগিয়ে আসা উচিত।
অনেকেই ইংরেজি মতে ১৯শে জুলাই দিনটি এই মহান মনীষীর জন্মদিন হিসেবে পালন করে থাকেন। কৃষ্ণনগরে কৃষ্ণনগর পৌরসভা ও কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ১৯ শে জুলাই ইংরেজি মতে এই মহান মনীষীর জন্মদিন পালন করে। এই মহান মানুষের প্রতি ভালবাসা থেকেই ধীরে ধীরে তার জনপ্রিয়তা বাড়ছে নতুন প্রজন্মের কাছে বলেই মনে করা হচ্ছে। কবির প্রতি ভালোবাসা থেকেই দুইদিনই কবির জন্মদিন পালিত হচ্ছে।