মলয় দে নদীয়া :- রেশন কার্ডের বিভিন্ন শ্রেণীবিভাগ এবং আলাদা আলাদা প্রাপ্য বুঝে নিতে গিয়ে কিংবা বোঝানোর ক্ষেত্রে গ্রাহক এবং ডিলারের মধ্যে প্রায়শই লেগে থাকে ঝামেলা ঝঞ্ঝাট। এবার অবশ্য তার থেকে মুক্তি। অত্যাধুনিক এক স্বয়ংক্রিয় ওজন যন্ত্র এসে গেছে প্রতিটি ডিলারের কাছেই, যেখানে সরকার নির্ধারিত ওই উপভোক্তার রেশন সামগ্রী নির্ধারণ করাই থাকবে, গ্রাহকের ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিলে তবেই চালু হবে ওজন যন্ত্র অন্যদিকে সামান্য কম কিংবা বেশি থাকলেও বিলিং মেশিন থেকে বের হবে না বিল।
এতে স্বচ্ছতা একশ শতাংশ হলেও, প্রযুক্তিগত বিষয়ে এই মুহূর্তে লেগে যাচ্ছে অনেকটা সময় তাতে ধৈর্যচ্যুতি ঘটছে গ্রাহকদের অন্যদিকে রেশন ডিলারদের একদিকে দুয়ারে রেশন কর্মসূচি অন্যদিকে একই গ্রাহককে নিয়ে কখনো লিংক করাতে গিয়ে হচ্ছে দেরি কখনো বা মাত্র দেড় ঘণ্টা চলা ব্যাটারি যাচ্ছে ফুরিয়ে আবার দুয়ারে রেশন কর্মসূচিতে গিয়ে অন্যের বাড়িতে গিয়ে মেশিনে ইলেকট্রিক চার্জ দেয়াও খুব সহজ নয়, তাই এই মুহূর্তে ভোগান্তিতে গ্রাহক থেকে ডিলার সকলেই। তবে রেশন ব্যবস্থায় আমুল পরিবর্তন করা হয়েছে যার সুফলও কম নয়, বিভিন্ন পরিযায়ী শ্রমিক কিংবা প্রবাসীদের ক্ষেত্রে সরকারি রেশন একটি সমস্যার বিষয় ছিল কিন্তু এখন ভারতের যে কোন প্রান্তে বসে রেশন কার্ড ছাড়াই শুধুমাত্র আধার কার্ড দিয়েও সে তার রেশন অনায়াসেই তুলতে পারবে। তবে কার্ড নিল হয়ে যাওয়া কিংবা লাল তা থেকে কিভাবে সবুজ করা হবে এই সমস্ত প্রযুক্তিগত প্রক্রিয়া এখনো পর্যন্ত সেই অর্থে উন্নতি সাধারিত হয়নি তাই সময় সাশ্রয়ের বদলে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এক রেশন তুলতে গিয়ে। তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে আগামীতে ম্যানুয়াল বলতে কিছু থাকবে না এইরকম পদ্ধতিতেই নিতে হবে রেশন। তবে ফিঙ্গারপ্রিন্টের বিকল্প হিসেবে এখনই চালু রয়েছে চোখের রেটিনার সংযোগ। কিন্তু এই ধরনের বিভিন্ন সহযোগী যন্ত্র বিকল হলে মেরামতি কিংবা তাৎক্ষণিক ভাবে সারানোর উপায় পাচ্ছেন না ডিলাররা অন্যদিকে সময় সাশ্রয়ও হচ্ছে না আপাতত তাই গ্রাহক ডিলার সকলেই বিড়ম্বনায়।