মলয় দে নদীয়া :- মৃত্যু মানেই বেদনার, তবে তা যদি হয় শতবর্ষ পার ,তবে বোধহয় মানেটা একটু বদলে যায়।
কোন রোগ ভোগ নয়, অসুস্থ কিংবা হাসপাতালেও ভর্তি নয়, নদীয়ার ফুলিয়ার বুঁইচা ঘোষ পাড়ার পার্বতী ঘোষ গতকাল সকাল ১১ টা নাগাদ মারা যান বয়স জনিত কারণেই। বয়সটাও নেহাত কম নয় ১১০ বছর ! স্বামী নকুল ঘোষ ৬ বছর আগে মারা যান ১০৫ বছর বয়সে। আট ছেলে এবং চার মেয়ের মধ্যে মারা গেছেন মাত্র একজন বাকিরা সকলেই জীবিত। যদিও তাদেরও বয়স সকলের প্রায় সত্তর আশি।
মৃতা বৃদ্ধার একডজন ছেলে এবং মেয়ের ঘরের নাতি নাতির সংখ্যা প্রায় চল্লিশ। আবার তাদের সন্তান-সন্ত্রতি অর্থাৎ মৃতবৃদ্ধার পুতিঁর সংখ্যাও ৫০ ছুঁইছুঁই। মোট চার প্রজন্মের প্রায় দুই শতাধিক আত্মীয়-স্বজন নিয়ে নেচে গেয়ে শ্মশান যাত্রা। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় পার্বতী দেবীর ইচ্ছাতেই নাকি এই ব্যবস্থা। সুদুর ফুলিয়া থেকে, শতাধিক নাতিনাতনির কাঁধে চেপেই প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে শান্তিপুর শ্মশানে পৌঁছান তিনি । যদিও দুটি বড় সাইজের ম্যাটাডোর ভাড়া করা হয়েছে মহিলা এবং বয়স্ক শশান যাত্রীদের জন্য। তবে পথের মাঝে মাঝেমধ্যেই তাসা ব্যঞ্জনের সাথে নেচে নিচ্ছেন, মৃতার শেষ ইচ্ছা পূরণের উদ্দেশ্যে। ঠাকুমার স্বর্গ লাভের কারণে বয়স্করাও আনন্দে মাতোয়ারা।