আলুর পুর সহ ফুচকা হাতে নিয়ে, সেন্সর কলের সামনে পাতলেই ৮ রকমের ভিন্ন স্বাদের টক জল, অভিনব দিল্লির ফুচকা নদীয়ায়

Social

মলয় দে নদীয়া:- গোলগাপ্পা, ফুলকি, টিক্কি, পানি কে বাতাসে, ফুচকা, গুপচুপ, বাতাসি, পাকাডা, পানিপুরি কিংবা পাকোরি নামগুলিতে স্থানভেদে চেনা যায় যে সর্বাধিক লোভনীয় খাবার তার নাম এ বাংলায় ফুচকা৷

ফুচকার আর এক জনপ্রিয় ও প্রচলিত নাম হল পানিপুরি, যার উদ্ভব হয়েছিল দক্ষিণ বিহারের মগধে। প্রথম দিকে ফুলকি নামে পরিচিত এই খাবার সম্পর্কে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক জার্নাল অব ইন্ডিয়া বিশদ বিবরণ রয়েছে।

তবে এ খাবারের উৎপত্তিস্থল হিসেবে অবশ্য বেনারসের কথাই বলা হয়েছে।
নাম যাই হোক, সমাজের সকল স্তরের বিশেষ করে মহিলাদের অত্যন্ত প্রিয় মুখরোচক এই খাবার রাস্তার ধারে দাঁড়িয়েই একমাত্র পথ। অন্যান্য খাবারের মতন বাড়িতে নিয়ে যাওয়া ইদানিং চালু হলেও, সর্বাধিক বিক্রিত হয় রাস্তার পাশেই। বিয়েবাড়ি থেকে বিভিন্ন আনন্দ অনুষ্ঠান, ফুচকার স্টলল ছাড়া বেমানান সবকিছুই। তবে চিরাচরিত সেই তেতুল গোলা গন্ধরাজ লেবু অথবা ধনেপাতা কিংবা পুদিনা পাতা মেশানো জল , ছোলা মটর বিভিন্ন ধরনের মসলার সমাহারে মাখা আলু সেদ্ধর পুর দিয়ে ফুচকা খাওয়ার জল এখন বদলেছে অনেকটাই। তবে সুজি ময়দার ফুচকা বদলায় নিয এতটুকু। বদলেছে পুরের উপকরণ এবং জলের স্বাদ।
তবে ফায়ার পানের মতন ফায়ার ফুচকাও দেখা যায় বিভিন্ন মেলা খেলায়।
নদীয়ার শান্তিপুর শহরের এক নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণ সংঘ এলাকার বাসিন্দা দামোদর সাহা , পেষায় কাপড়ের ব্যবসায়ী, সেই সূত্রেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মাঝেমধ্যে যেতে হয়। তবে শান্তিপুরের বাসিন্দা হিসেবে গর্ববোধ করা দামোদর, সাম্প্রতি দিল্লিতে গিয়ে দেখেছিলেন, ফুচকার একটি অভিনব গাড়ি যা সম্পূর্ণভাবে বিদ্যুৎ পরিচালিত, স্বয়ংক্রিয় ভিন্ন ভিন্ন আটটি স্বাদের টকজল নেওয়ার কৌশল যা অত্যন্ত হাইজেনিক।

ফুচকা সকলের লোভনীয় হলেও
চলতি গ্রাম বাংলার ফুচকা বিক্রেতাদের খালি হাতেই চটকে আলু মাখা, এবং ব্যবসায়ী ব্যস্ততায় নানান অবহেলা দেখে অনেকেই ফুচকা খাওয়া থেকে দূরে থাকতেন।
তবে এই অত্যাধুনিক ফুচকাগাড়ি দামোদর সাহা কিনে নিয়ে এসেছেন শান্তিপুরবাসীর জন্য, লাভ লোকসানের হিসাব পরে হবে, শান্তিপুরবাসীকে নতুন কিছু উপহার দেওয়া তার প্রধান উদ্দেশ্য, তাই গতকাল শুভ উদ্বোধনের দিন অনেকেই বিনামূল্যে চেখে দেখার, ব্যবস্থা রাখেন তিনি। যদিও প্রথম দিনেই রেকর্ড বিক্রি! তবে ক্রেতারা এই অভিনব উদ্যোগের জন্য বিক্রেতাকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেছেন, প্রথম দিন হিসাবে পুদিনা স্ট্রবেরি ম্যাংগো ভ্যানিলা চাইনিজ এ ধরনের মোট আটটি স্বাদের টক জলের মধ্যে মাত্র দুটি স্বাদ মিলেছে। বাকিগুলো নিতে তারা আবারও আসবেন। তবে চাটনি ফুচকা দই ফুচকা বিভিন্ন ধরনের প্রায় 10 টিরও বেশি নিত্য নতুন স্বাদের ফুচকা প্লেট হিসেবে বিক্রি শুরু হবে বলে জানতে পেরেছি, এমনকি বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা আছে বলেও জানিয়েছেন তারা। তবে প্রথম দিন সব কিছুরই অব্যবস্থা।

স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে বন্ধু বান্ধবী, বয়স্ক থেকে মাঝ বয়সী গৃহবধূ সকলেই ভিড় জমিয়েছিলেন শান্তিপুর রেলবাজার সংলগ্ন স্বাচ্ছন্দ লজের সামনে এই অভিনব অস্থায়ী দোকানে। তবে, এ প্রজন্মের ছেলেদের ভিড়ও কম ছিলো না।
দামোদর বাবু জানিয়েছেন, এই একই স্থানে বিকাল চারটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত খোলা থাকবে তাদের দোকান।

Leave a Reply