দেবু সিংহ, মালদা: স্ত্রীকে খুনে অভিযুক্ত স্বামীকে দোষী প্রমাণিত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা আদালতের।
এমন রায়ের খুশি পরিবারের লোকেরা। মঙ্গলবার মালদা জেলা আদালত এই রায় দেয়।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১০ আগস্ট স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ ওঠে মালদহের মানিকচকের বাসিন্দা দিলীপ রায়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ছিল, দিলীপ রায়ের সঙ্গে অপর এক মহিলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কে বাধা দেওয়াই স্ত্রীকে মারধর ও নির্যাতন করতো। সেই ঘটনার জেরেই ১০ আগস্ট গভীর রাতে শোয়ার ঘরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। মৃত গৃহবধুর নাম সুপ্রিয়া রায়। বাবার বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার ফারাক্কা থানা এলাকায়। ওই দিন প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে ছুটে আসে পরিবারের লোকজন। বাড়িতে এসে মেয়ের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে। তারপরেই মৃত গৃহবধুর বাবা অভিনয় মন্ডল মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী সহ আরো একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। মালদহ জেলা আদালতে শুরু হয় এই মামলা। প্রায় ৮ বছর ধরে চলে এই মামলার শুনানি। অবশেষে একাধিক সাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্ত দিলীপ রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধি ৪৯৮এ, ৩০২, ৩০৪বি ও ৩৪ ধারায় মামলা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ তে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের জেল দুই টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাস জেলের সাজা ঘোষণা করে আদালত। ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩০২ ধারায় দশই সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায় আরও ছয় মাস জেল হেফাজতের সাজা ঘোষণা করে আদালত। সরকারি পক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত কুন্ডু বলেন, এই মামলায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মোট ১৬ জনের সাক্ষী প্রমাণ দিয়েছেন। তার মধ্যে ছয় বছরের সন্তানের বয়ানের উপর ভিত্তি করেই অভিযুক্তকে দোষী প্রমাণিত করেছে আদালত। অবশেষে সাজা ঘোষণা হল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।