নদীয়ার কৃষ্ণনগরে একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদ স্মরণ, তোরণে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন

Social

সোশ্যাল বার্তা : বাঙালি নিজেদের মায়ের ভাষা রক্ষা করার জন্য এবং বাংলায় কথা বলার জন্মগত অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রাণ উৎসর্গ করেছিলেন।

নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের সদরের মোড়ে রয়েছে বাংলা ভাষা শহীদ স্মরণে একটি তোরণ। ২০০২ সালেের ১৯শে মে নবচেতনার উদ্যোগে তোরণটি উদ্বোধন করেন মোহাম্মদ তৌফিক হোসেন বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনার। গত রবিবার কৃষ্ণনগরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগরের ঐকতান ও অন্যবাক পত্রিকার সদস্যরা জায়গাটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করেন।

কৃষ্ণনগরের এই জায়গায় একুশে ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ভাষা শহীদ স্মরণ তোরণে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন কৃষ্ণনগরের কয়েকজন সংস্কৃতি প্রেমী মানুষ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্যবাক পত্রিকা, নবচেতনা , কৃষ্ণনগর ঐকতান এর সহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যবৃন্দ। শহীদ স্মরণে কবিতা ও সংগীত পরিবেশিত হয়।

২১শে ফেব্রুয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার ভাবি জানিয়ে পূর্ববঙ্গের রাজধানী ঢাকায় ১৯৪৭ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভাষা-বিক্ষোভ শুরু হয়। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি তার চরম প্রকাশ ঘটে।

ঐদিন সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ১৪৪ ধারা অমান্য করে রাজপথে বেরিয়ে এলে পুলিশ তাদের ওপর গুলি চালায়। এতে আবুল বরকত, আবদুল জব্বার,রফিক, আবদুস সালামসহ ছাত্রযুবা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন অনেকেই আহত হন।

১৯৯৮ সালে কানাডাতে বসবাসরত দুই বাঙালি রফিকুল ইসলাম এবং আব্দুস সালাম প্রাথমিক উদ্যোক্তা হিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার আবেদন জানিয়েছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের কাছে । ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ই নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় ও এতে ১৮৮টি দেশ সমর্থন জানালে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

Leave a Reply