সোশ্যাল বার্তা :পশ্চিমবঙ্গের পুরনো গ্রন্থাগারগুলির মধ্যে অন্যতম একটি গ্রন্থাগার হলো কৃষ্ণনগর পাবলিক লাইব্রেরী। ১৮৫৬ সালের ১ জুলাই থেকে কৃষ্ণনগর পাবলিক লাইব্রেরী তার পথচলা শুরু করেছে। মহারাজা শ্রীশচন্দ্র রায় এই গ্রন্থাগারের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর দান করা জমিতেই গ্রন্থাগার স্থাপিত হয়। তিনিই ছিলেন এই গ্রন্থাগারের প্রথম সভাপতি। আর গ্রন্থাগারের প্রথম সম্পাদক ছিলেন রামলোচন ঘোষ। দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে ১৭ বছর আগে কৃষ্ণনগর পাবলিক লাইব্রেরী তার সার্ধশতবর্ষ অতিক্রম করেছে।
১ জুলাই ২০২২ ছিল কৃষ্ণনগর পাবলিক লাইব্রেরীর ১৬৭তম প্রতিষ্ঠা দিবস। লাইব্রেরীর পরিচালন সমিতির পক্ষ থেকে দিনটি বিশেষ ভাবে পালন করা হয়। গ্রন্থাগারের মহারাজা শ্রীশচন্দ্র রায় পাঠকক্ষে বিকাল পাঁচটা থেকে অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরিচালন সমিতির সভাপতি সুবীর সিংহরায় গ্রন্থাগারের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস সকলের সামনে তুলে ধরেন। একই সাথে ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়ের স্মরণে চিকিৎসক দিবসও সেদিন পালন করা হয়। ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ডাক্তার টি কে দাস। কৃষ্ণনগর পাবলিক লাইব্রেরীর প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনজন অবসরপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারকর্মী রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস, দিবাকর দে এবং মহেশ ভট্টাচার্যকে তাদের অবসরকালীন বিদায় সম্বর্ধনা দেওয়া হয়।
প্রতিষ্ঠা দিবস সম্পর্কে কৃষ্ণনগর পাবলিক লাইব্রেরীর পরিচালন সমিতির সদস্য দীপাঞ্জন দে বলেন, “১লা জুলাই দিনটি আমাদের কাছে বিশেষভাবে স্মরণীয়। আমাদের লাইব্রেরী দ্বিশতবর্ষের দিকে যাত্রা শুরু করেছে। সকল পাঠকবর্গ এবং শুভানুধ্যায়ীদের প্রচেষ্টায় কৃষ্ণনগর পাবলিক লাইব্রেরী এভাবেই এগিয়ে চলুক।” কৃষ্ণনগর পাবলিক লাইব্রেরীর ১৬৭তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান গ্রন্থাগারের পরিচালন সমিতি, পাঠকবর্গ এবং গ্রন্থাগারপ্রেমীদের সার্বিক উপস্থিতিতে সুন্দরভাবে উদযাপিত হয়।