শিস দিয়ে গানে মন ভরলে, শিল্পকর্ম হবে না কেনো? শেখা এবং শেখানোর ব্যবস্থা থাকবে না কেনো, প্রশ্ন শীষ শিল্পী অসীম বাবুর

Social

মলয় দে নদীয়া:- বাঁশির সুরে মন মাতানোর কথা অনেকেই জানেন। কেউ কেউ আছে গাছের পাতা বাঁশি হিসাবে অসাধারণ সুর দেন। তবে শিস দেওয়া অতিপরিচিত বিষয় সকলের কাছে। বনের পাখিদের মধ্যে অনেকের সিস কর্কশ কারোরবা সুরেলা। ঠিক তেমন মানুষের ক্ষেত্রেও। তবে গান গাওয়ার ক্ষেত্রে যেমন কন্ঠ আলাদা আলাদা হয় শিষ দেওয়ার ক্ষেত্রেও দুটি ঠোঁটের শব্দ পৃথক হয়, অবশ্য অতশত বলছেন তারাই যারা এ বিষয়ে পারদর্শী। সাধারণ মানুষে হিসাবে আমাদের কাছে সবটাই লাগে একই রকম। তবে শিস দেওয়া একটি শিল্পকর্ম তা মানেন অনেকেই, ইদানিং এ বিষয় নিয়ে নতুন করে পড়াশোনা এবং ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। তবে প্রায় একইভাবে দুই ঠোঁটের সাথে আঙ্গুলের ব্যবহারে বাজানো সিটি বাজানো অনেকেই কুনজরে দেখেন। তবে অতীতে রাতে শিস দেওয়া নিষেধ ছিল পারিবারিকভাবে। তবে মনের আনন্দে গান গাওয়ার মতন শিসের সুরের কদর করে থাকেন অনেকেই। হিন্দি হোক বা বাংলা সিনেমা জগৎ এ শিস দিয়ে গান আজও লক্ষ্য করা যায়।

নদীয়ার ফুলিয়া টাউনশিপের অন্তর্গত জীবনানন্দ কলোনির বাসিন্দা অসীম মহলদার শোনালেন তাঁর শিষদেওয়া জীবনের নানান কাহিনী। বিভিন্ন ক্লাব ব্যান্ডের সাথে শীষের মেলবন্ধন ওই এলাকার অনেকেরই জানা, সঙ্গীত শিল্পীদের মত তিনিও শিস দিয়ে গান করেছেন বহু অনুষ্ঠানে। ছোট মুদিখানা দোকান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা অসীম বাবুর ইচ্ছা আগামীতে, শিস দেওয়া স্কুল খুলতে। তবে তিনি নিজে আরো শিখতে চান, প্রতিনিয়ত অনুশীলনের মধ্যে থাকলে এর শিল্প উৎকর্ষতা বৃদ্ধি করা যায় বলে তিনি মনে করেন।

Leave a Reply