মলয় দে নদীয়া:- এবারে আসন্ন জানুয়ারি মাসে দু ধাপে দুয়ারের সরকারের মূল আকর্ষণ থাকছে মৎস্যজীবীদের কার্ড এবং আর্টিশন কার্ড প্রদান। সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং সংবাদমাধ্যমে কথাটা ঘোরাফেরা করলেও গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলার কৃষ্ণনগরে এক প্রশাসনিক সভা শেষে নিজের মুখে তা ব্যক্ত করেন।
জেলায় অনেক আগে কৃষ্ণনগর জেলা শিল্প ভবন থেকে এই কার্ড প্রদানের ব্যবস্থা থাকলেও বর্ধমান জেলার শিল্প ভবন থেকে ইদানীং বেশ কয়েক বছর যাবৎ তা সংগ্রহ করতে হতো।
তবে দুয়ারের সরকারে এ ধরনের ব্যবস্থার জন্য উপকৃত হবেন অনেকেই। কিন্তু আমরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে লক্ষ্য করলাম বেশিরভাগ শিল্পীদেরই প্রকল্পাধীন করা হয়েছে অনেক আগেই। এই কার্ড প্রার্থীর ফলে জেলা এবং রাজ্যের মধ্যে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি মেলাতে তাদের শিল্পকর্ম তুলে ধরা এবং উৎপাদন সামগ্রী বিক্রি করার জন্য ঘর ভাড়া দিতে হয় না, এমনকি যাতায়াতের খরচ পর্যন্ত ব্যয় ভার বহন করে থাকে জেলা ক্ষুদ্র কুটির শিল্প।
শান্তিপুরের রাসের মেলা উপলক্ষে পথের পাশে বসে বাঁশের চটা দিয়ে ঝুড়ি, চুবড়ি, ধামা, কুলো, ঘর সাজানো সৌখিনদ্রব্য তৈরি এবং একইসাথে বিক্রি করতে করতে শোভা ব্যাস জানান তিনি হবিবপুর থেকে এসেছেন পরিবারের সকলের আর্টিসান কার্ড হয়ে গেছে বহুদিন আগেই। পরিবারের এক এক সদস্য এক -একদিকে মেলা করতে বেরিয়ে পড়েন তাদের উৎপাদিত শিল্পকর্ম নিয়ে, পরিবারের একমাত্র উপার্জনের এই ব্যবস্থায় সরকারি কার্ডের ফলে, যাতায়াত এবং মেলার স্টল ভাড়া কিছুই লাগেনা, ফলে বিক্রিত অর্থ উপার্জন দিয়ে সচ্ছলভাবে সংসার চালাতে পারেন।
খড়গপুর থেকে আগত অপর এক বৃদ্ধ মদন ব্যাস জানান বাঁশের তৈরি বাঁশি সৌখিনদ্রব্য ফুলদানি সহ বেশ কিছু শিল্পকর্ম বিক্রি করেই দারিদ্রতা ঘটেছে পরিবারের।
শুধু তাদেরই নয় , হবিবপুর অঞ্চলের প্ নানান শিল্পকর্মের সঙ্গে যুক্ত প্রায় প্রত্যেকেরই দুবেলা দুমুঠো ভাত জোটে সরকারি সহযোগিতা শিল্পকর্ম বেঁচে।
পথের অপর প্রান্তে উত্তর ২৪ পরগনা দত্তপুকুর থেকে আগত টেরাকোটা এবং হালফ্যাশনের নানান গৃহসজ্জার মাটির দ্রব্যাদি বানানো বীরেন বিশ্বাস জানান , অনেকদিন আগে কার্ড পেয়ে থাকলেও বেশিরভাগ সময় মেলা খেলায় থাকার কারণে নবীকরণ সম্ভব হয়নি, তবে এবার দুয়ারের সরকার হওয়ার ফলে তা অনেকটাই সুবিধাজনক হবে। তিনি বলেন রাজ্যের বাইরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি মেলাতে বহুমূল্যের স্টল ভাড়া বাঁচবে এবার থেকে।