আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবসে নিজের বাবা-মায়ের মূর্তি স্থাপন, পালন সমাজের দায়বদ্ধতাও

Social

মলয় দে নদীয়া:- ১৯৮৫ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন সর্বপ্রথম প্রতি বছর ৫ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস উদযাপন শুরু করে। সমাজ সংস্কারক ব্যয়বহুল বিভিন্ন দপ্তরের থেকে দূরে থেকেই, সরকারি বিভিন্ন বিধি নিষেধের বেড়াজাল টপকে সরকার যেখানে পৌঁছতে পারে না সেখানে এন জি ও non-government organization মাধ্যমে বিভিন্ন জনহিতকর পরিষেবা পাঠানো, এবং ব্যস্ততার কারণে সরকারের নজর এড়িয়ে থাকা বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোকপাত করার উদ্দেশ্যেই এ ধরনের ব্যবস্থা। তবে রাজ্যে হোক বা রাজ্যের বাইরে কিছু মুষ্টিমেয় সরকারি নিবন্ধীকরণ সংস্থা বাদে বেশিরভাগ সংস্থার ক্ষেত্রেই গতিপ্রকৃতি খুব বেশি চোখে পড়ে না। আবার এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সামাজিক দায়িত্ব পূরণে এগিয়ে এসে সামাজিক কাজকর্ম করার সংস্থা সরকারি মান পায় না। অথচ কোভিদ পরিস্থিতি হোক বা সামাজিক দায়িত্ব পালনে স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় কখনো কখনো জনপ্রতিনিধি থেকেও বেশি কাজ করে থাকেন।

বর্ধমান জেলার অসিত কুমার চ্যাটার্জী, যিনি তার মা-বাবার আবক্ষ মূর্তি বানাতে এসেছিলেন, বিখ্যাত মৃৎশিল্পী বিশ্বজিৎ দেউড়ির বাড়িতে। হাওড়া জেলায় এবং বর্ধমান জেলায় তার একাধিক সামাজিক কার্যক্রম সকলেরই জানা, তিনি মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাব এর সহ-সভাপতি, বহু নেতা-মন্ত্রীর সাথে সুসম্পর্কের কারণে তিনি এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন ছোট খাটো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কে নিয়ে বিভিন্ন রকমের সামাজিক কাজ করে থাকেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, আর্থিক কারণেই হোক বা শারীরিক সমস্যা! বিবাহের উপযুক্ত হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও সে সুযোগ হয়ে ওঠেনি, তাদের পরিবারের অনুমতিক্রমে, ন্যূনতম সংসার খরচ জোগাড় করার ব্যবস্থা সহ প্রতিবছরের শতাধিক নবদম্পতির চার হাত এক করে থাকেন।

Leave a Reply