প্রীতম ভট্টাচার্য: বিষের বাতাসে পৃথিবী দগ্ধ। দূষণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে সারা পৃথিবী জুড়ে। আগামীর পৃথিবীর নদ,নদী, অরন্য, জীবজন্তু আর থাকবে কি? এই পৃথিবীর বুকে। জল জঙ্গল জমি থেকে কর্পোরেট আগ্রাসন চলছে, নগরায়ন আর শিল্পায়নের নামে সবুজ ধ্বংস করা হচ্ছে, প্রতিদিন কত পাখি, পশু,গাছ, ফুল, পুকুর, নদী হারিয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে। মানবজীবনে নেমে আসছে ক্রমশ অন্ধকার, টেকনোলজির হাত ধরে শিশু মন বিপর্যস্ত। আগামী প্রজন্মের শিড়দাঁড়া ভগ্নপ্রায়,ক্রমশ সঞ্চার হচ্ছে নতুন নতুন ভাইরাস আর রোগের।আর আমরা যখন রাজনীতি আর অর্থের লুলুপে বিদ্ধ, স্যাটেলাইট আর বোকা বাস্কতে বন্দী, আঙুেলের স্পর্শে পৃথিবীর অসুখ সারাতে ব্যাস্ত,ঠিক তখনই তিন তরুনের পরিবেশ রক্ষার অঙ্গীকার সাইকেলে ভর করে।
কারও বাড়ি ডায়মন্ড হারবার আবার কারও বাড়ি হাওড়ার লিলুয়ায়।তিনজনেই এ.পি.ডি.আর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সদস্য। চোখে পরিবেশ বাঁচানোর একরাশ স্বপ্ন অনিমেষ নস্কর, রাজীব দত্ত, বিশ্বজিৎ প্রামানিকদের। ২৮শে ডিসেম্বর২০২০ ডায়মন্ড হারবার থেকে শুরু করে তারা সাইকেল চালানো তারপর কৃষ্ণনগর, বহরমপুর, শিলিগুড়ি শেষে সান্দাকফু পাড়ি পরিবেশ বাঁচানোর বার্তা নিয়ে।তাদের কিছু দাবী নিয়ে ছুটে চলেছে সাগর থেকে পাহাড়। দলের সদস্য অনিমেষ নস্কর বলেন “সাইকেলে কোনো দূষন নেই তাই সাইকেল কে আমরা বেছে নিয়েছি সওয়ারি হিসাবে। আমাদের মূল বার্তা হল – জল জঙ্গল জমি থেকে কর্পোরেট আগ্রাসন দূর করতে হবে, নগরায়ন আর শিল্পায়নের নামে সবুজ ধ্বংস হোক, অবিলম্বে পরিবেশ বিরোধী EIA ড্রাফট বাতিল করতে হবে, আর জাতীয় সড়কে চাই সাইকেল লেন। তাদের এই দুচোখের সাহস, জেদ, আর পরিবেশের প্রতি ভালোবাসাকে একরাশ কুর্ণিশ, ওদের ভালোবাসার পৃথিবী আবার সুস্থ হবে”।