মলয় দে, নদীয়া: সকলকে আনন্দে মাতোয়ারা করে রাখার ভানু বন্দোপাধ্যায় মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুর বর্তমানে বাংলাদেশে ১৯২০ সালে আজকের দিন অর্থাৎ ২৬শে আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন।৩০০ টিরও বেশি বাংলা সিনেমায় সর্ব শ্রেষ্ঠ রম্যচরিত্রের মাধ্যমে দর্শকদের মধ্যে আজও বেঁচে রয়েছেন তিনি। এখনকার মতন বিগ বাজেটের সিনেমা আত্মপ্রকাশ না করলেও, ভানু বন্দোপাধ্যায় ও তার সহযোগীদের অভিনয় দেখতে হা করে সাদাকালো বোকাবাক্সের সামনে বসলে হেসে ফেলছেন রামগরুড়ের ছানাও।
বিভিন্ন পূজা পার্বণ, বনভোজন,আনন্দ অনুষ্ঠানে এখনকার মতো কানে আঙ্গুল দেওয়া ডিজে না বাজলেও, গ্রামোফোন রেকর্ডে ভানু বন্দোপাধ্যায় কমিক শুনতে দাঁড়িয়ে পড়তেন পথচলতি অতিব্যস্ত মানুষটিও। নতুন বস্ত্র হোক না হোক দুর্গোৎসবে ঘরে ঘরে শারদীয়া সংখ্যার সাথে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কমিক্সের ক্যাসেট কেনা ছিল বাঙালিয়ানা। ১৯৮৩ সালে তাঁর মৃত্যুর পর এই ঈশ্বর প্রদত্ত বাচনভঙ্গির ধারাবাহিকতা বজায় রাখা যোগ্য উত্তরসূরি দু একজন কে পাওয়া গেলেও বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে তা বিরল। তবে নদীয়ার শান্তিপুরের বাচিকশিল্পী অনুপম সরকারের নিয়মিত অনুশীলন এবং ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা, কন্ঠ অনুকরনের প্রবৃত্তি শুধু বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের নয়, সারা রাজ্যে সমাদৃত।
মজার জগতের বিভিন্ন কলাকুশলীরাও অনুপম কে চেনে ভানুকন্ঠী হিসেবে। তবে অনুপম অবশ্য একমত পোষণ করে না।তার মতে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় একদম অদ্বিতীয়, তার মস্তিষ্কপ্রসূত রম্যসের ভান্ডারের কিঞ্চিৎ স্বাদ আধুনিক প্রজন্মের ক্যারিয়ার গড়ার চাপে আসতে ভুলে যাওয়া, সংসারের যাঁতাকলে এটিএম মেশিন হয়ে যাওয়া পরিবার প্রধানের মানসিক তৃপ্তি দানে, যন্ত্রমানবের কার্যক্রম শেষে কর্ম অবসরপ্রাপ্ত বৃদ্ধ মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে, আমার সামান্য প্রয়াস মাত্র। মাল্যদান এর মাধ্যমে শিল্পীর প্রতি সম্মান জানান তিনি ।